প্রশান্ত কিশোর ছবি পিটিআই
প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিলে তাঁর জন্য একটি আলদা পদ তৈরি করা যেতে পারে, কিন্তু এখনই তাঁকে ‘বিশেষ পদ’ দেওয়ার বিষয়ে একমত নন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। গত জুলাই মাসে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে প্রশান্তের বৈঠকের পর থেকেই তাঁর হাত শিবিরে যোগদান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। তবে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব বা প্রশান্ত— কোনও পক্ষের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। এই সব নিয়ে জল্পনার মাঝেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রশান্ত দলে যোগ দিলে তাঁকে কী পদ দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনায় বসেছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
রাজধানীর ১০, জনপদে গাঁধী পরিবারের সঙ্গে প্রশান্তের বৈঠকের পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে শোনা গিয়েছিল, তিনি কংগ্রেসে যোগদান করলে দলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ আহমেদ পটেলের ‘বিশেষ পদ’টি দেওয়া হতে পারে তাঁকে। সনিয়ার রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ছিলেন আহমেদ। প্রশান্তের ‘ভোটকুশলী’ পরিচয়টি মাথায় রেখে তাঁকেও প্রয়াত কংগ্রেস নেতার পদের সমতুল্য একটি পদ দেওয়া হতে পারে। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সাম্প্রতিক বৈঠকের পর দলীয় সূত্রের দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নজরে রেখে ভোট সংক্রান্ত বিষয় পরিচালনার জন্য আলাদা একটি পদও তৈরি করা হতে পারে প্রশান্তের জন্য। বৈঠকে এ বিষয়ে অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদেরও মত জানাতে বলা হয়েছে।
সূত্রের দাবি, ভিসি বেণুগোপালের ডাকা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের ওই বৈঠকে যাঁরা হাজির ছিলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, একে অ্যান্টনি, জয়রাম রমেশ, দিগ্বিজয় সিংহ এবং তারিখ আনওয়ার।