প্রশান্ত কিশোর ও তেজস্বী যাদব। ফাইল ছবি।
নীতীশ কুমারের পর এ বার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। শনিবার পিকে নীতীশের ডেপুটিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেন, ‘‘নবম শ্রেণি পাশ করে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন!’’
বিহার জুড়ে ‘জন সুরাজ’ অভিযান শুরু করেছেন প্রশান্ত। সেই অভিযানের অন্তর্গত পদযাত্রায় রাজ্যের ব্লকে ব্লকে ঘুরে জনসংযোগ সারছেন তিনি। শনিবার পশ্চিম চম্পারণ জেলার ধানাউজি গ্রামে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পিকে। সেখানেও ওঠে বেকারত্বের প্রসঙ্গ। পিকে বলেন, ‘‘লালুজির ছেলে মাত্র নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে আছেন। আর আপনার ছেলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলে পিয়নের চাকরিও পাবে না।’’ পিকে দাবি করেন, সাংসদ বা বিধায়কদের ছেলেমেয়ের জন্য তাঁদের মা, বাবা আছেন। ঠিক ভাল চাকরি পেয়ে যাবেন সকলেই। পিকের প্রশ্ন, ‘‘সাধারণ মানুষের কে আছে? তাদের তো ভাগ্যের ভরসাতেই থাকতে হয়!’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তেজস্বীকে কটাক্ষ করা হয়তো পিকের ইচ্ছাকৃত নয়। কারণ, এই মন্তব্যের ফলে লালুর ভোটাররা রেগে যেতে পারেন। তা হলে? এর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি পিকে। কিন্তু তাঁর দলের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত বলেন, ‘‘তেজস্বী যাদবের কথা বলে পিকে সম্ভবত বোঝাতে চেয়েছেন, এক জন জনপ্রতিনিধির ছেলে বা মেয়ে হওয়ার সঙ্গে সাধারণ মা, বাবার সন্তান হওয়ার মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। তিনি কোনও নির্দিষ্ট রাজনীতিবিদের কথা বলতে চাননি, সামগ্রিক পরিবেশ পরিস্থিতির কথাই বলতে চেয়েছেন। কারণ, আপাতত পিকে মানুষের অভাব অভিযোগ জানার চেষ্টা করছেন।’’
গত ২ অক্টোবর, পশ্চিম চম্পারণ থেকে সারা বিহারব্যাপী পদযাত্রা আরম্ভ করেছেন প্রশান্ত। সেখানে পথেই মানুষের সঙ্গে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনাও চালাচ্ছেন তিনি। মানুষের কাছে জানতে চাইছেন অভাব অভিযোগের কথা। তা নিয়ে চলছে আলোচনা। এই প্রেক্ষিতেই শনিবার পিকে বসেছিলেন মহিলাদের সঙ্গে। সেখানেই তিনি বিহারের শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করতে গিয়ে তেজস্বীর উদাহরণ টেনে আনেন।