প্রকাশ জাভড়েকর। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে। রবিবার। ছবি- সংগৃহীত।
বিরোধীদের তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে।
জাভড়েকরের মতে, ‘‘কোনও নেতা, নীতি ও রণনীতি নেই বিরোধীদের।’’
বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে, রবিবার প্রকাশ বলেন, ‘‘বিরোধী জোট নিয়ে ভাবার কোনও দরকারই নেই। তাঁদের কোনও নেতা, নীতি ও রণনীতি নেই। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রয়েছে ভিশন, প্যাশন ও ইম্যাজিনেশন (দূরদৃষ্টি, আবেগ ও ভাবনা)। তাই মোদী সরকারের আরও একটা পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারটা নিশ্চিত।’’
বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে গতকালও তুলোধনা করা হয়েছিল বিরোধীদের। এ দিন তারই প্রতিধ্বনি শোনা যায় দলের জাতীয় কর্মসমিতির অন্যতম সদস্য জাভড়েকরের গলায়।
আরও পড়ুন- বাংলা দখলে জোর বিজেপির
আরও পড়ুন- ‘সুপ্রিম কোর্ট আমাদের, রাম মন্দির হবেই’, বললেন যোগী মন্ত্রিসভার সদস্য
প্রকাশ এ দিন বলেন, ‘‘চার বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনপ্রিয়তার হার ৭০ শতাংশে রয়েছে। উনি (প্রধানমন্ত্রী) মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। পক্ষান্তরে বিরোধীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তাদের না আছে কোনও নেতা, না আছে কোনও নীতি বা দিশা। তাদের লক্ষ্য একটাই, তা হল, কী ভাবে থামানো যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।’’
আরও একটি পূর্ণ মেয়াদের মোদী সরকারের ব্যাপারে কী ভাবে নিশ্চিত হলেন তিনি?
প্রকাশের দাবি, বিজেপি এখন ১৯টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। যে রাজ্যগুলিতে ক্ষমতাসীম বিজেপি, সব রাজ্যেই কাজ হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। সংসদের দুই কক্ষে রয়েছে বিজেপির ৩৫০ জন সদস্য, আর বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ও বিধান পরিষদগুলিতে রয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি সদস্য। ত্রিপুরা, মেঘালয় থেকে দমনমূলক ‘আফস্পা’ আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারতের অর্থনীতি গোটা বিশ্বে বেড়েছে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে।