ডিজিটাল বোর্ড: প্রশ্নে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী

ডিজিটাল বোর্ড প্রকল্পের কথা গত বাজেটে প্রস্তাব করেছিলেন অরুণ জেটলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪১
Share:

প্রায় ৭ লক্ষ স্কুল ও ২ লক্ষ কলেজে আসন্ন শিক্ষাবর্ষ (২০১৯) থেকেই ডিজিটাল মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। ছবি: পিটিআই।

ব্ল্যাক বোর্ড বদলে যাবে ডিজিটাল বোর্ডে।

Advertisement

শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় ও সহজ করে তুলতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। প্রায় ৭ লক্ষ স্কুল ও ২ লক্ষ কলেজে আসন্ন শিক্ষাবর্ষ (২০১৯) থেকেই ডিজিটাল মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু হয়ে যাবে বলে আজ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। কিন্তু ওই প্রকল্পের টাকা কোথা থেকে আসবে, তার দিশা দেখাতে পারেননি তিনি। প্রকল্পের মোট খরচের ৪০ শতাংশ দায়ভার রাজ্যগুলিকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাবের মতো ঋণ-জর্জর রাজ্যগুলি কেন্দ্রের ওই প্রকল্পে টাকা দিতে রাজি হবে কি না, তা নিয়ে কোনও জবাব দিতে চাননি জাভড়েকর।

ডিজিটাল বোর্ড প্রকল্পের কথা গত বাজেটে প্রস্তাব করেছিলেন অরুণ জেটলি। এ বার পীযূষ গয়ালের অন্তর্বর্তী বাজেটেও তার উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক পদক্ষেপে মূলত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং কলেজ পড়ুয়াদের প্রথাগত বইয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও অঙ্ক শিক্ষার কথা ভাবা হয়েছে। তবে জাভড়েকরের দাবি, অন্যান্য বিষয় ও ছোট ক্লাসও ধীরে ধীরে ওই প্রকল্পের আওতায় আসবে। আগামী তিন বছরে দেশের সমস্ত সরকারি (কেন্দ্রীয় ও রাজ্য) স্কুলে চালু হবে ডিজিটাল বোর্ড।

Advertisement

আগামী ১ এপ্রিল থেকে প্রকল্প শুরু করতে চাইছে সরকার। অথচ ডিজিটাল মাধ্যমের বিষয়বস্তু তৈরি করা এখনও বাকি। মাত্র এক মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র ডেকে এই বিরাট সংখ্যক বোর্ড কেনা সম্ভব কি না, তা নিয়ে কর্তারা চুপ। তা ছাড়া, লোকসভা নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে মন্ত্রীর এই দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প ঘোষণা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

মন্ত্রকের সমীক্ষা, ডিজিটাল বোর্ড লাগাতে শ্রেণিকক্ষ-পিছু গড়ে এক লক্ষ টাকা খরচ হবে। তিন বছরের প্রকল্প রূপায়িত করতে মোট সাত থেকে দশ হাজার কোটি টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন খোদ মন্ত্রীই। কিন্তু কোথা থেকে ওই টাকা আসবে, তার কোনও হদিস অন্তর্বর্তী বাজেটে নেই। জাভড়েকরের বক্তব্য, ‘‘উচ্চশিক্ষায় আইসিটি (ইনফর্মেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি) খাতে ফি-বছর পাঁচশো থেকে সাতশো কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। সেই টাকা ব্যবহার করা হবে।’’ কিন্তু তাতে যে চাহিদা ও জোগানে বিস্তর ফারাক! এই কথা শুনেই ফোঁস করেন উঠে জাভড়েকর বলেন, ‘‘সেই চিন্তা অর্থমন্ত্রী করবেন। সাংবাদিকদের ভাবার দরকার নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement