—ফাইল চিত্র।
মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ইকবাল মেমন (মির্চি)-র সঙ্গে এক চুক্তির বিষয়ে এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেলকে আজ তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কালো টাকার লেনদেন সংক্রান্ত ওই মামলার সূত্রে প্রফুল্ল আজ সকাল-সকাল পৌঁছে যান ইডির দক্ষিণ মুম্বইয়ের অফিসে। উড়ান সংক্রান্ত এক কেলেঙ্কারিতে আগেই তাঁকে এক দফা জেরা করেছে ইডি।
ইডি-র অফিসাররা জানিয়েছেন, প্রফুল্লের সংস্থা ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ ২০০৬-০৭ সালে মুম্বইয়ে ‘সিজে হাউস’ নামে একটি বহুতল তৈরি করেছিল। যার তৃতীয় ও চতুর্থ তল ইকবাল মির্চির বিবি হাজরা ইকবালের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইকবাল মির্চির জমিতেই তৈরি হয়েছিল বাড়িটি। তদন্তকারীদের দাবি, কালো টাকার লেনদেন, মাদক পাচার ও তোলাবাজির মতো অপরাধের মাধ্যমে জোগাড় করা টাকায় কেনা হয়েছিল ওই জমি। দাউদ-সহযোগীর সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে প্রফুল্লর বক্তব্য রেকর্ড করতেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি।
প্রফুল্ল ও তাঁর দলের বক্তব্য, সম্পত্তি সংক্রান্ত ওই চুক্তিতে অন্যায় কিছু নেই। সম্পত্তির কাগজপত্রেই স্পষ্ট ওই লেনদেন ছিল ‘পরিষ্কার ও স্বচ্ছ’। প্রফুল্ল নিজেও এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ‘‘সম্পত্তি সংক্রান্ত চুক্তি বিষয়ে যে সংবাদ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, তা জল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু নথি সংবাদমাধ্যম পেয়ে থাকতে পারে। অবশ্যই আপনাদের কাছে কোনও নথি থাকতে পারে। কিন্তু কখনওই সেগুলি আমার নজরে আনা হয়নি।’’
মুম্বইয়ে জমি-জমা-সম্পত্তি ও নির্মাণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দাউদের ডি-কোম্পানির লোকজনের যোগ নিয়ে অতীতে অনেক বারই অভিযোগ উঠেছে। একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেল গোপন ক্যামেরায় তোলা মুম্বইয়ের ডেভেলপার জয়ন্ত সোনির কিছু বক্তব্য আজ প্রচার করেছে। তাতে দেখানো হয়েছে, সোনি ২০০৭-০৮ নাগাদ তাঁদের ব্যবসায় ডি-কোম্পানির প্রভাবের কথা স্বীকার করেছেন। ইকবাল মির্চির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথাও জানিয়েছেন। মুম্বইয়ে রাবিয়া ম্যানসন, সমুদ্র মহলের মতো ভবনের বিষয়ে সমঝোতা পত্র (মউ) সই হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁকে সরিয়ে দিয়ে ‘ধীরজ’ নামে ডি-কোম্পানির কেউ চুক্তি ‘হাতিয়ে’ নেয় বলে অভিযোগ জয়ন্ত সোনির। তবে ভিডিয়োর সত্যাসত্য পরীক্ষা করা হয়নি।