পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে বিজেপি-কে তোপ তৃণমূল সাংসদ ডেরেকের। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
ত্রিপুরায় দলীয় সাংসদের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগের পর এ বার বিজেপি শাসিত গোয়া। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের ঠিক আগে উত্তপ্ত দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের ছোট্ট রাজ্য। গোয়ায় তৃণমূল নেত্রীর ছবি দেওয়া ব্যানার ও হোর্ডিং ছেঁড়ার অভিযোগ বিজেপি-র বিরুদ্ধে। পাশাপাশি চাপ বাড়াতে দুর্নীতির অভিযোগে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্তের ইস্তফার দাবিও তুলেছে গোয়া তৃণমূল। এ জন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তারা।
গোয়া তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে সম্প্রতি গোপন বৈঠকে বসেছিলেন গোয়া বিজেপি-র কর্মকর্তারা। সেই গোপন বৈঠকে স্থির হয়েছে, মমতার মুখ দেওয়া যে সমস্ত ব্যানার ও পোস্টার গোয়া জুড়ে লাগানো হয়েছে, সব ছিঁড়ে দেওয়া হবে। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই রাতের অন্ধকারে তৃণমূল নেত্রীর মুখ দেওয়া ব্যানার-পোস্টার নষ্ট করতে নেমেছে বিজেপি।
এর আগে ‘জনতার চার্জশিট’ প্রকাশ অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েও পরে তা প্রত্যাহারের অভিযোগে গোয়ায় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এ বার সরাসরি বিজেপি-র বিরুদ্ধে পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ করল তারা।
তৃণমূলের পোস্টার ছেঁড়ার নিন্দা করেছেন সদ্য তৃণমূলে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ পাওয়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। তিনি বলেছেন, ‘‘আগে গোয়ায় এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। তৃণমূলের আগমনে বিজেপি এতটাই সন্ত্রস্ত যে, তৃণমূল নেত্রীর ছবি দেওয়া পোস্টার ছিঁড়ে রাগ ও নিরাপত্তাহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।’’
১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সরকার গঠনের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন দলনেত্রী মমতা। নিজে টুইট করে সবার সমর্থনও চেয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে নেত্রীর সফরের অব্যবহিত আগে তাঁর মুখ দেওয়া পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগে উত্তপ্ত গোয়া।