কংগ্রেসে সনিয়া-ঝড়ের মেঘ, কাদের উপরে কোপ

সব বুথ ফেরত সমীক্ষাই বলছে, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় ঝড় তুলবে বিজেপি। কংগ্রেসের ‘ঝড়’ তা হলে উঠবে কোথায়? দল বলছে, তুলবেন ‘ম্যাডাম’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

বৃহস্পতিবার দুই রাজ্যে ভোটের ফলের পরেই নাকি ঝড় উঠবে কংগ্রেসে। এ খবর দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারাই।

Advertisement

সব বুথ ফেরত সমীক্ষাই বলছে, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় ঝড় তুলবে বিজেপি। কংগ্রেসের ‘ঝড়’ তা হলে উঠবে কোথায়? দল বলছে, তুলবেন ‘ম্যাডাম’। অর্থাৎ, সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেস সভানেত্রী নাকি অপেক্ষা করছেন ভোটপর্ব মেটার জন্য। তার পরেই সংগঠনে ফের বদল করবেন। রেহাই পাবেন না বেশ কিছু তাবড় নেতাও। তাঁদের কাউকে বার করে দেওয়া হতে পারে, কাউকে সরানো হতে পারে পদ থেকে, কিংবা ছাঁটা হতে পারে ডানা। কিন্তু কার উপরে কোপ পড়বে, তা বলতে পারছেন না দলের নেতারা।

রাহুল গাঁধী সভাপতি হওয়ার সময় আশায় বুক বেঁধেছিলেন এক ঝাঁক নবীন নেতা। তাঁদের অনেকের বক্তব্য, ‘‘ম্যাডাম যদি সত্যিই কোনও পদক্ষেপ করতে চান, সেটা কিছু প্রবীণের বিরুদ্ধেই করতে হয়। যাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আহমেদ পটেল ও গোষ্ঠী। তাঁদের সরিয়ে রাহুলের পথের কাঁটা কি পাকাপাকি ভাবে দূর করতে পারবেন?’’

Advertisement

এআইসিসি চত্বরে অবশ্য এমন কোনও ইঙ্গিত নেই। গত কালও যখন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বেসুরো গলা সেধেছেন বিজেপির হয়ে, ‘ম্যাডাম’ নাকি আহমেদ পটেলকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন কড়া বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু দলের এক নেতার মতে, ‘‘রাহুল গাঁধীকে ফের ক্ষমতায় কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনার জন্য ধাপে ধাপে সব পদক্ষেপই করবেন সনিয়া গাঁধী। প্রক্রিয়া শুরু তো হোক। তার পর দেখতে থাকুন।’’

এত দিন কংগ্রেসকে আক্রমণ করত বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শরিক শরদ পওয়ারের দল এনসিপি- ও আজ গাঁধী পরিবারকে সরাসরি আক্রমণ করে। যে পওয়ার অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রচার করেছেন। তাঁর দলের নেতা মজিদ মেমন এ দিন বলেন, ‘‘কংগ্রেসে যে হচ্ছেটা কী, কিছুই বুঝতে পারছি না। ভোটটাকে তারা গুরুত্বই দেয়নি। সনিয়া গাঁধী মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে এলেন না। প্রিয়ঙ্কাকেও (গাঁধী বঢরা) পাঠালেন না। আর রাহুল গাঁধী এলেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। কংগ্রেসকে এর খেসারত দিতে হবে।’’

তবে কংগ্রেসের একাংশ এখনও মনে করে, সব কিছুর উপরেই নজর রাখছে মা-ছেলের জুটি। এবং প্রিয়ঙ্কা উত্তরপ্রদেশ সামলালেও পরিবারের সিদ্ধান্তে সামিল তিনিও। তবে গাঁধী পরিবার এত দিন পরিস্থিতির উপরে শুধু নজর রেখে এসেছে। কে সঙ্গে, কে বিপক্ষে, কে পা বাড়িয়ে আছেন দল ছাড়ার জন্য, কে ছেড়েও মন থেকে দলে। এ বারে সব বিবেচনা করেই শুরু হবে ‘অ্যাকশন’, মনে করছেন দলের নেতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement