পুড়ে যাওয়ার পর পোর্শে গাড়িটি। ছবি: সংগৃহীত।
দ্রুত গতিতে রাস্তা দিয়ে ছুটছিল লালরঙা পোর্শে ৯১১ গাড়িটি। তার পরই একটি বাঁকের কাছে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে কয়েক ফুট উঁচুতে উঠে রাস্তার পাশে একটি গাছে ধাক্কা মেরে আটকে যায়। তার পরই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। চোখের নিমেষেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বিলাসবহুল ২ কোটি টাকার ওই গাড়ি।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরুগ্রামের গল্ফ কোর্স রোডে সেক্টর ২৭-এ। রাস্তার পাশে গাছের নীচে একটি বিলাসবহুল গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে কয়েক জন পথচারী পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এবং দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তত ক্ষণে গাড়ির বেশির ভাগটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে যে নম্বরপ্লেট লাগানো ছিল, তা দেখে জানা গিয়েছে সেটি চণ্ডীগড়ের। গাড়িটি রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও সওয়ারিদের কোনও খোঁজ মেলেনি। ওই গাড়ি তবে কে চালাচ্ছিলেন? চালকই বা কোথায় গেলেন? যখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ, এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, গাড়িতে দুই যুবক ছিলেন। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে রাস্তা দিয়ে ছুটছিল গাড়িটি। সেটি সেক্টর ৫৬-এর দিক থেকে সিকন্দরপুরের দিকে যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি প্রথমে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তার পর গাড়িটি ছিটকে পাশের লেনে গিয়ে পড়ে। তার পর রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মেরে আটকে যায়। তখনই গাড়ি থেকে দুই যুবককে নামতে দেখা যায়। তাঁরা অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন। গাড়ি ফেলে রেখেই পালিয়ে যান।
গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর থেকে পুলিশ যখন মালিকের খোঁজ চালাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গুরুগ্রামের এক ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে যান। তিনি জানান, গাড়িটি তাঁর ছেলে চালাচ্ছিলেন। পাশাপাশি, এটাও দাবি করেন যে, একটি কুকুরকে বাঁচাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে।