১৯ দিন পরও করিমগঞ্জের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুৎ-সঙ্কটে নাজেহাল জেলার বাসিন্দারা। পানীয় জল সরবরাহেও সমস্যা হচ্ছে। অভিযোগ, হাসপাতালেও জল মিলছে না। আজ জেলা প্রশাসন কয়েকটি এলাকায় পানীয় জল পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু ওই জলের শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। করিমগঞ্জের জেলাশাসক মনোজকুমার ডেকা জানান, প্রতি দিনই বিদ্যুতের ওভারহেড তার মেরামত করা হচ্ছে। কিন্তু ঝড়বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও তা ছিড়ে যাচ্ছে। তার জেরেই বিদ্যৎ বিভ্রাট হচ্ছে। তিনি জানান, আজ রাতেও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হলে আগামী কালও শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
অন্য দিকে, করিমগঞ্জ থেকে শিলচরে যাওয়ার জন্য বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি অনেক বেশি ভাড়া আদায় করার বিষয়ে জেলাশাসক জানান, এ নিয়ে তিনি জেলা পরিবহণ আধিকারিককে বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘শহরে কয়েকটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন গাড়ি এমনকী পরিবহণ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যক্তিগত কয়েকটি গাড়ি বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে খবর মিলেছে। গাড়ির মালিক এবং গাড়িচালকদের নিয়ে বৈঠকে ভাড়া ঠিক করে দেবে প্রশাসন।’’ তিনি জানান, জাতীয় সড়ক বেহাল থাকায় ঘুরপথে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে জুলুম করে ভাড়া নেওয়া হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘বেশি টাকা নেওয়া হলে গাড়ির মালিক এবং চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা হবে।’’