প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তান থেকে দূষিত বাতাস ঢোকার ফলেই দূষণের শিকার হচ্ছে দিল্লি। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি-পর্বে এমনই দাবি করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতি এম ভি রমণার বেঞ্চকে শুক্রবার যোগী আদিত্যনাথের সরকার জানিয়েছে, দেশের রাজধানীর বায়ুদূষণ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে যদি পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির শিল্পক্ষেত্রের উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয় তবে উত্তরপ্রদেশের দুধ প্রক্রিয়াকণ এবং চিনিশিল্পের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে এই যুক্তি পেশের পরেই উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি রমণা। যোগী-রাজ্যের কৌঁসুলিকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘তবে কি আপনি পাকিস্তানের শিল্পের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চান?’’
নভেম্বর শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় সোমাবার দিল্লি সরকার জানিয়েছিল, স্থানীয় স্তরে দূষণের মাত্রা কমাতে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি-সহ সমস্ত কড়া পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত দিল্লি। তবে সেই পদক্ষেপ তখনই সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য হবে যখন সমগ্র জাতীয় রাজধানী ক্ষেত্র (এনসিআর) এবং তার পড়শি রাজ্যগুলিতেও বিধিনিষেধ বহাল করা হবে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে কৃষকদের খড়বিচালি পোড়ানো এবং শিল্পক্ষেত্রের দূষণের প্রভাব দিল্লিতে পড়ছে বলেও দাবি করেছিল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার।
দূষণ ঠেকাতে দিল্লিতে সমস্ত ধরনের নির্মাণকাজের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালত আগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার ফলে দিল্লিতে হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলি নির্মাণের বন্ধ হওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল কেজরীবাল সরকার। শুক্রবার দিল্লিতে হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।