ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মকানুনে টিকবে কি না, সন্দেহ আছে। তবু ভোটে লড়ার সময়ে হলফনামায় বিদেশ ভ্রমণের ফিরিস্তি দেওয়ার দাবি তুলল বিজেপি। কারণ একটাই। বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে রাহুল গাঁধীর অস্বস্তি আরও বাড়ানো।
যখন থেকে কংগ্রেস প্রকাশ্যে জানিয়েছে যে, বিদেশে ‘ধ্যান’ করতে যান রাহুল, তেড়েফুঁড়ে আসরে নেমেছে বিজেপি। তাদের দাবি, গত পাঁচ বছরে রাহুলের ১৬টি বিদেশ সফরের ৯টিই অজানা। এই ‘বিলাসবহুল পাঁচতারা ধ্যান’-এর বিদেশ সফর কোথায়, কে খরচ যোগায়, সে সব খতিয়ান দিন রাহুল। বিজেপির মুখপাত্র জি ভি এল নরসিংহ রাও বলেন, ‘‘এক সাংসদ হিসেবে আমার দাবি, ভোটে লড়ার সময়ে হলফনামায় সকলকে বিদেশ সফরের অতিরিক্ত তথ্য দিতে বলা হোক। যাতে কোনও জনপ্রতিনিধি তাঁর বিদেশ সফরের খতিয়ান লুকোতে না পারেন।’’
রাহুলের বিদেশ সফর নিয়ে এত বিতর্ক শুরু হওয়ায় এখন মুখে কুলুপ এঁটেছে কংগ্রেস। তবে দলের এক আইনজীবী সাংসদ বলেন, ‘‘বিজেপি যা ইচ্ছে দাবি করলেই হল! দেশে আইনকানুন বলে কি কিছু নেই? প্রার্থীদের বিদেশ ভ্রমণের খতিয়ান দিতে হবে কেন? বিজেপি এমন কিছু চেষ্টা করলেও আদালতে তা ধোপে টিকবে না।’’ বিজেপির পাল্টা দাবি, কেন টিকবে না? যে কোনও বিদেশ সফরের জন্য খরচ লাগে। রাহুল গাঁধীর বিদেশ সফরের খরচ কে যোগাচ্ছে, কোথা থেকে টাকা আসছে, এ সব জানার অধিকার জনতার নেই?
বিজেপি স্মরণ করাচ্ছে, ২০১৪ সালে ভোটের আগে নিয়ম হয়, হলফনামায় স্ত্রী বা স্বামীর সম্পত্তির খতিয়ান জানাতে হবে। তখনই প্রথম বার নরেন্দ্র মোদীকে নিজের স্ত্রী যশোদাবেনের নাম প্রকাশ্যে লিখতে হয়েছিল। যদিও তাঁর সম্পত্তির বিষয়ে ‘কিছু জানেন না’ বলেই লিখছেন প্রতি বার। বিদেশ সফরের সঙ্গেও আয় ও আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খরচের বিষয় আছে। বিজেপির এক সাংসদের মতে, সংসদীয় মন্ত্রী গত জুলাই মাসে সব সাংসদকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত বিদেশ সফরে গেলেও লোকসভায় জানাতে। কিন্তু কিছু না জানিয়েই বারবার বিদেশে যাচ্ছেন রাহুল গাঁধী।