প্রতীকী ছবি।
রাজস্থানের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানের জালোরের বাসিন্দা ন’বছরের দলিত স্কুল-ছাত্রের। খবরে প্রকাশ, স্কুলে উচ্চবর্ণের জন্য আনা কুঁজো থেকে জল খাওয়ার ‘অপরাধে’ তাকে মারধর করা হয়। শনিবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, মৃত্যুর কারণ যেটা বলা হচ্ছে, তা নয়।
জালোরের পুলিশ সুপার হর্ষবর্ধন অগ্রবাল জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে, উচ্চবর্ণের জন্য আনা কুঁজো থেকে জল খাওয়ার অভিযোগে ন’বছরের দলিত ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে, এই অভিযোগ ঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মেঘাওয়াল সম্প্রদায়ের (দলিত)। এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পেয়েছি, তাতে অভিযোগ সত্য বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে না।’’
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ওই স্কুলে সবার পানের জন্য রয়েছে একটি জলের ট্যাঙ্ক। হর্ষবর্ধন আরও বলেন, ‘‘ওই দলিত ছাত্রের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে পরিষ্কার হবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।’’
গত শনিবার আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে দলিত পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। তার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, উচ্চবর্ণের কুঁজো থেকে জল খাওয়ার অপরাধে তাকে এমন মারধর করা হয়েছে যে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় লাগে রাজনীতির রং। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে দলিত সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন বিধায়ক পানাচাঁদ মেঘাওয়াল। জালোরে বিরোধী বিজেপির জনপ্রতিনিধি যোগেশ্বর গর্গ বলেন, ‘‘অভিযোগ স্বীকারের পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত রাজনীতি চলছে। এই সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য করার আগে আমি সকলের কাছে সত্যিটা জেনে নিতে আবেদন করছি।’’