এখানেই আটকে রাখা হয়েছিল পণবন্দি শিশুদের।—ছবি রয়টার্স।
উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলার মহম্মদাবাদে ২০টি পণবন্দি শিশুকে মুক্ত করল পুলিশ। সুভাষ বাথাম নামে প্যারোলে মুক্ত এক খুনের আসামি নিজের স্ত্রী ও ওই শিশুদের বন্দি করেছিল। অসমর্থিত সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সুভাষ নিহত হয়। উদ্ধার করা হয় শিশুদের।
পুলিশ জানিয়েছে, সুভাষ নিজের এক বছরের মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কয়েক জন প্রতিবেশী মহিলা ও কিছু শিশুকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। পরে নিজের স্ত্রী-মেয়ে-সহ সকলকে বেসমেন্টে বন্দি করে সে। সন্তানেরা না ফেরায় সুভাষের বাড়িতে যান প্রতিবেশীরা। তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সুভাষ। পুলিশে খবর যায়। পুলিশের একটি পিসিআর ভ্যান বাড়িতে গেলে ছাদ থেকে গুলি ছোড়ে সুভাষ। বোমাও ছোড়ে সে। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এনএসজি-র কমান্ডোরা। রাতে অবশ্য দর কষাকষির পরে ছ’মাসের একটি শিশুকন্যাকে মুক্তি দিয়েছিল সুভাষ। তার পরে অবশ্য দর কষাকষি চালাতে থাকলে উদ্ধারে নামে পুলিশ ও কমান্ডো। পুলিশের সন্দেহ, মানসিক অবসাদের কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সুভাষ। সূত্রের খবর, পরিস্থিতির উপরে নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।