Pappu Yadav

বিশ্নোই গ্যাং যুক্তই নয়! কেন বার বার হুমকি পাপ্পু যাদবকে? তদন্তে ইঙ্গিত, নিরাপত্তা বৃদ্ধির কৌশল

অক্টোবর মাস থেকে একের পর এক হুমকি পাচ্ছেন বিহারের পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব। ডিসেম্বরেও একটি হুমকি পেয়েছেন তিনি। ডিসেম্বরের ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তিনি সাংসদেরই সমর্থক বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২৬
Share:

বিহারের পূর্ণিয়ার সাংসদ পাপ্পু যাদব। —ফাইল চিত্র।

গত দেড় মাসে একাধিক বার খুনের হুমকি পেয়েছেন বিহারের নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব। অক্টোবরের শেষের দিকে এক বার, তার পরে নভেম্বরের শুরুতে আরও দু’বার প্রাণনাশের হুমকি পান তিনি। ডিসেম্বরেও একটি হুমকি পেয়েছেন। কিন্তু কেন বার বার খুনের হুমকি পাচ্ছেন পূর্ণিয়ার ‘বাহুবলী’ নেতা? সাংসদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করাতেই কি এই হুমকির ‘কৌশল’ নেওয়া হয়েছে? পুলিশি তদন্তে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশের দাবি, পুরোটাই পরিকল্পিত। সাংসদের ঘনিষ্ঠেরাই নাকি অভিযুক্তকে টাকা দিয়েছেন এই হুমকি দেওয়ার জন্য।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির হত্যার ঘটনার পর থেকে চর্চায় উঠে এসেছে লরেন্স বিশ্নোইয়ের গ্যাং। সলমন খানের সঙ্গে সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে অভিনেতার নিরাপত্তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়। এই আবহে অক্টোবরে সলমনের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিক্রিয়া দেন পাপ্পু। ওই মন্তব্যের কয়েক দিন পরেই সাংসদ হুমকি পান বলে দাবি। তার পরেও একের পর এক হুমকি পেতে থাকেন তিনি। সাংসদের দাবি, বিশ্নোই গ্যাংয়ের নাম করে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরের হুমকিও বিশ্নোই গ্যাংয়ের নাম করেই আসে বলে অভিযোগ।

সর্বশেষ হুমকি বার্তা আসে গত শুক্রবার। হোয়াটস্‌অ্যাপ মারফত। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বছর একুশের রামবাবু যাদব নামে ওই ধৃতের সঙ্গে বিশ্নোই গ্যাংয়ের কোনও যোগ পায়নি পুলিশ। পূর্ণিয়ার পুলিশ সুপার কার্তিকেয় শর্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত নিজেও সাংসদের সমর্থক।

Advertisement

পুলিশি জেরায় রামবাবু দাবি করেছেন, সাংসদের অনুগামীরাই তাঁকে দায়িত্ব দেন ওই হুমকি বার্তা পাঠানোর জন্য। পরিবর্তে তাঁকে দু’হাজার টাকাও দেওয়া হয় বলে জানান অভিযুক্ত। আগামী দিনে আরও ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও সাংসদের কোন ঘনিষ্ঠেরা এই পরিকল্পনায় যুক্ত, তা এখনও প্রকাশ্যে আনেননি পুলিশ সুপার। সাংসদ নিজে এই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা –ও স্পষ্ট করেননি তিনি। পুলিশ সুপারের বক্তব্য, তদন্ত এখনও চলছে। যদিও পুলিশের দাবি অস্বীকার করেছেন পূর্ণিয়ার সাংসদ। পাপ্পুর বক্তব্য, যদি কেউ তাঁকে হুমকি দেওয়ার জন্য টাকা দিয়ে থাকেন, তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনা উচিত পুলিশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement