হাথরসের ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
বুধবার রাত ১১টায় ‘ভোলে বাবা’র আশ্রমে প্রবেশ করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ‘স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ’ (এসওজি)। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত সেই তল্লাশি শেষ হয়নি। শেষ পাওয়া খবর বলছে, পুলিশ এখনও রয়েছে আশ্রমের ভিতরেই। ইতিমধ্যে ১২ জনকে আটকও করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কয়েকটি শিশু এবং বহু মহিলা-সহ ১২১ জনের। ঘটনাটির পর থেকেই ‘ফেরার’ স্বঘোষিত গুরু ‘ভোলে বাবা’ ওরফে নারায়ণ সাকার হরি এবং মূল অভিযুক্ত ‘গুরুর মুখ্য সেবাদার’ বেদপ্রকাশ মধুকর। তাঁদের খোঁজে বুধবার থেকেই নিরন্তর তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। বুধবার রাতে তেমনই এক তল্লাশি অভিযানে উত্তরপ্রদেশের মইনপুরিতে ‘ভোলে বাবা’র আশ্রমে অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ওই বিশেষ দল। সূত্রের খবর, মইনপুরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নগর) রাহুল মিঠাস ২০-২৫ জন পুলিশকর্মীর একটি দল সঙ্গে নিয়ে আশ্রমে ঢোকেন। তার পর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত পাওয়া খবর বলছে, তাঁরা বাইরে আসেননি। তবে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ১২ জনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আশ্রমের ভিতরে ‘ভোলে বাবা’ বুধবার রাতেও ছিলেন না। বৃহস্পতিবারও তাঁর দেখা মেলেনি। আপাতত গোটা আশ্রমের সুরক্ষা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছে পুলিশ।
বুধবার রাত থেকেই হাথরস, আলিগড়, এটা, মইনপুরির জায়গায় জায়গায় লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালাতে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, হাথরসে যে আয়োজকেরা সৎসঙ্গের আয়োজন করেছিলেন, তাঁরা এখনও পলাতক। যে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, তাঁদের সকলকেই নিয়ে আসা হয়ছে সাকান্দ্রৌ থানায়।
হাথরসের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই স্বঘোষিত গুরু ‘ভোলে বাবা’র মুখ্য সেবাদারের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল পুলিশ। এফআইআরে নাম ছিল সৎসঙ্গের আয়োজকদেরও। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫, ১১০, ১২৬ (২), ২২৩ এবং ২৩৮ ধারায় দায়ের হয়েছিল মামলা। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।