উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
হাথরসকাণ্ডের ‘আসল’ কারণ অনুসন্ধানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যোগী আদিত্যনাথ সরকার এ বার ঘটনার তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশনও তৈরি করল। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। পুলিশও নিজেদের মতো করে তদন্ত চালাচ্ছে। নতুন কমিশনকে অবশ্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নের জবাব খোঁজার। তারা খুঁজে দেখবে, হাথরসের ঘটনা কি নিছক দুর্ঘটনা? না কি এর নেপথ্যে কোনও পক্ষের গূঢ় ষড়যন্ত্র রয়েছে। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে হাথরস বিপর্যয় ঘটানো হয়েছে কি না।
হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই বেড়ে হয়েছে ১২১ (পিটিআই মৃতদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে)। ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যোগীর প্রশাসন নিয়ে। তাই বিচার বিভাগীয় কমিশন খুঁজে দেখবে আসলে ‘দোষ’ কার ছিল।
ইতিমধ্যেই কমিশন তৈরি করার ব্যাপারে বিবৃতি জারি করেছেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। তিনি জানিয়েছেন, এলাহাবাদ হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ব্রিজেশ কুমার শ্রীবাস্তব (দ্বিতীয়)-এর নেতৃত্বে ওই কমিশনে থাকছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্তা হেমন্ত রাও এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কর্তা ভবেশ কুমার সিংহ। কমিশনের সদর দফতর হবে লখনউয়ে। দু’মাসের মধ্যে সমস্ত জরুরি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে যোগী সরকারকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা তাদের। যদি অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয় তবে তার জন্য সরকারি অনুমতি নিতে হবে।
আপাতত যে যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বলা হয়েছে ওই কমিশনকে, সেগুলি হল: ১. আয়োজক সংস্থা জেলা প্রশাসনের সমস্ত শর্ত মেনেছিল কি না। ২. ঘটনাটি দুর্ঘটনা, ষড়যন্ত্র না কি পরিকল্পিত অপরাধ? ৩. ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছিল জেলা প্রশাসন? ৪. আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী পদক্ষেপ করেছিল পুলিশ? ৫. ঠিক কী কারণে কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল?