মণিপুর পুলিশের কনস্টেবল বিক্রমজিৎ সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
বচসার জেরে ঊর্ধ্বতন সহকর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। মণিপুরের ঘটনা। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার সাব-ইনস্পেক্টর শাহজাহানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন কনস্টেবল বিক্রমজিৎ সিংহ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুরের জিরিবাম জেলার মংবাং গ্রামের পুলিশ ঘাঁটিতে ঘটনাটি ঘটে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার শাহজাহানের সঙ্গে বিবাদ হয় বিক্রমজিতের। তার জেরেই নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি ছোড়েন বিক্রমজিৎ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত বছর মে মাস থেকে মণিপুরে কুকি এবং মেইতেই, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত চলছে। তার প্রভাব প্রথম দিকে জিরিবাম জেলায় পড়েনি। চলতি বছর জুন মাসে ওই জেলায় এক সম্প্রদায়ের বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগ ওঠে অন্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। তার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জিরিবাম। ঘর ছাড়তে বাধ্য হন বহু মানুষ। তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন শিবিরে। ওই ঘটনার পর থেকে জিরিবাম জেলায় রয়েছে কড়া প্রহরা। জিরিবাম জেলার মংবাং গ্রামেও মোতায়েন রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই অবস্থায় সেখানকার থানায় কী ভাবে এক পুলিশ কর্মীকে খুন করলেন অন্য জন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরে দুই সম্প্রদায়ের সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২০০ জন। ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। মেইতেইদের বাস মূলত ইম্ফল উপত্যকায়। আর আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় বাস কুকি জনজাতির।