সাপটিকে বাঁচানোর চেষ্টা পুলিশকর্মীর। ছবি: সংগৃহীত।
সাপের মুখে মুখ ঠেকিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করছেন এক পুলিশ আধিকারিক। যত ক্ষণ না সাপের দেহে প্রাণ ফিরছিল, তত ক্ষণ পর্যন্ত এই কাজই করে গিয়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে সাপটি নড়াচড়া করতে শুরু করায়, সেটিকে পরম যত্নে বনকর্মীদের হাতে তুলে দেন তিনি। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
অতুল শর্মা। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল। নর্মদাপুরমের একটি বসতি এলাকায় প্রায় ৬ ফুটের সাপ ঢুকে পড়েছিল। ফলে ওই বসতি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রাই সাপটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটি একটি পাইপের ভিতরে আশ্রয় নেয়। বার বার চেষ্টা করেও যখন সাপটিকে বার করা যাচ্ছিল না, তখন ওই পাইপের ভিতরে কীটনাশক ঢেলে দেন। আর সেই কীটনাশকের গন্ধে সাপটি পাইপের ভিতর থেকে ছটফট করতে করতে বেরিয়ে আসে। কিছু ক্ষণ পর সেটি নড়াচড়া বন্ধ করে দেয়।
এর পর কী করা উচিত তা বুঝে উঠতে না পেরে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন কনস্টেবল অতুল শর্মা। তিনি নিজেকে ‘সাপ উদ্ধারকারী’ বলে দাবি করেন। অতুল দেখেন, সাপটি মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর এক মুহূর্ত দেরি না করে তিনি সাপটির শরীরের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে শুরু করেন। সাপের গায়ে জল ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন অতুল। তাতেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় উপস্থিত সকলকে অবাক করে দিয়ে সাপের মুখে মুখ ঠেকিয়ে অক্সিজেন দেওয়া শুরু করেন। বেশ কিছু ক্ষণ এ ভাবে চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। তার পরই দেখা যায়, সাপটি নড়তে শুরু করেছে। কোনও কিছু ভ্রুক্ষেপ না করে ও ভাবে সাপের মুখ মুখ ঠেকিয়ে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে তোলায় স্থানীয়রা অতুলের এই কাণ্ডে অবাক হয়ে যান। অতুলের দাবি, গত ১৫ বছর ধরে তিনি সাপের উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত ৫০০টি সাপ উদ্ধার করেছেন।