—প্রতীকী চিত্র।
কিশোরীর পিতা জটিল রোগে আক্রান্ত। ‘তন্ত্র সাধনার’ মাধ্যমে তার পিতাকে সুস্থ করে দেবেন, এই টোপ দিয়ে কিশোরীকে কবরস্থানে ডেকেছিলেন বছর বাহান্নর এক প্রৌঢ়। অভিযোগ, সেখানেই ১২ বছর বয়সি ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন তিনি। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিম দিল্লির রোহিণী সংলগ্ন এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তান্ত্রিকের ভেকধারী ওই অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কিশোরীর পিতা যে জটিল রোগে আক্রান্ত, তা জানতে পেরেছিলেন অভিযুক্ত প্রৌঢ়। তান্ত্রিক সেজে ওই প্রৌঢ় টোপ দিয়েছিলেন, তার পিতাকে সুস্থ করে দেবেন। সেই কথা বলে কিশোরীকে তিনি ডেকেছিলেন স্থানীয় একটি কবরস্থানে। এর পর সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
স্থানীয় থানার এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক পিটিআইকে বলেছেন, “পুলিশের কাছে প্রথম ফোন এসেছিল এক কিশোরীকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এলাকায় পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছিল।” পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ধৃত ওই প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৫(২) ধারায় ধর্ষণ এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতনের একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে। ৩ বছরের নাবালিকা থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধা যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। বুধবারই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ১২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির এক নিম্ন আদালত। ২০২০ সালে ছয় বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওই ব্যক্তি।