Delhi Police

২০০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার দিল্লিতে, পর পর কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় যোগ খুঁজছে পুলিশ

দক্ষিণ দিল্লিতে মাদক বিরোধী এক অভিযানে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৫০০ কেজিরও বেশি মাদক। যার মূল্য প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার আশপাশে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দিল্লিতে মাদক বিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য পেল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৫০০ কেজিরও বেশি মাদক (কোকেন)। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা। পুলিশের দাবি, রাজধানী দিল্লিতে এই প্রথম বার কোনও একটি অভিযানে এত পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত হল। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দক্ষিণ দিল্লিতে হানা দেয় পুলিশ। ওই অভিযানেই বাজেয়াপ্ত হয় ৫০০ কেজিরও বেশি মাদক। পুলিশি হানায় চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশের সন্দেহ, এই মাদক কারবারের নেপথ্যে আন্তর্জাতিক কোনও মাদক চক্রের যোগ রয়েছে। রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় অভিজাত খদ্দেরদের কাছে এই মাদক বিক্রির ছক ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দিল্লির তিলকনগর এলাকা থেকে দুই আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গত শনিবারের ওই অভিযানে তাঁদের থেকে উদ্ধার হয়েছিল মাদক (কোকেন ও হেরোইন)। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, রাজধানী দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহের কাজ করতেন তাঁরা। প্রতিটি সরবরাহের জন্য প্রায় ১০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকার কাছাকাছি) পেতেন।

তিলকনগরে ওই অভিযানের দিনেই দিল্লি বিমানবন্দরে কাস্টমস্‌ বিভাগের আধিকারিকেরা এক কেজির কিছু বেশি পরিমাণ কোকেন উদ্ধার করেছিলেন। যার মূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকারও বেশি। পশ্চিম আফ্রিকার লাইবেরিয়া থেকে আসা এক বিমানযাত্রীর থেকে সেগুলি উদ্ধার করেছিলেন কাস্টমসের আধিকারিকেরা। ওই লাইবেরিয়ান নাগরিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে তিলকনগরে দুই আফগান নাগরিকের ধরা পড়া, দিল্লি বিমানবন্দরের ঘটনা এবং তার পরে বুধবার ৫০০ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাজেয়াপ্তের তালিকায় কোকেন। ঘটনাগুলির মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেটি অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। সম্ভব্য সব দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া এই মাদক কোথায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল, কে বা কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সেই সব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement