ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে পুলিশের অনুমান খুনই করা হয়েছে তিনজনকে। ফাইল চিত্র
এক সপ্তাহ আগেই এক মহিলা এবং তাঁর দুই সন্তানের পচে যাওয়া দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাঁদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরনোয় পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরাই। পুলিশ দেহ উদ্ধার করলেও কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছিল না। অবশেষে এই ঘটনায় রবিবার একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার সম্বলপুরে। গত ১৩ মে সেখানর সুনাপালি এলাকায় সাজিয়া পারভিন, তাঁর আট বছরের পুত্র আব্দুল রেহমান এবং ৬ বছরের কন্যা হামেরা তাইবার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছিল, সাজিয়া গত দু’বছর ধরে বিবাহ বিচ্ছিন্ন। দুই সন্তানকে নিয়ে একাই থাকতেন ওই বাড়িতে।
পরে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এক যুবকের সঙ্গে সাজিয়ার সম্পর্ক ছিল। তাঁর নাম মহম্মদ মুদাসির খান। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছিল, ইদানিং দু’জনের মধ্যে ঝগড়ঝাটি, অশান্তি হচ্ছিল। যার জেরেই সম্ভবত খুন হতে হয় সাজিয়া এবং তাঁর দুই সন্তানকে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে পুলিশের অনুমান খুনই করা হয়েছে তিনজনকে। তারা মনে করছে খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার গভীরে পৌঁছতে পারবে তারা।