ব্যারিকেড টপকে এগনোর চেষ্টা পড়ুয়াদের। ছবি: রয়টার্স।
রাষ্ট্রপতির সইয়ের পরও নাগরিক সংশোধনী বিল (সিএবি) নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত। এ বার তার আঁচ পৌঁছল রাজধানী দিল্লিতেও। সেখানে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল পুলিশ। বিক্ষোভ ঠেকাতে এলে পড়ুয়ারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয় বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় বড় ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নাগরিক সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে মিছিল করে সংসদ ভবন পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল পড়ুয়াদের। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে বেরোতেই তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড বসিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়, যাতে কোনও ভাবেই মিছিল এগোতে না পারে। পড়ুয়াদের আটকাতে দিল্লি মেট্রোর তরফে পটেল চক এবং জনপথ স্টেশনে ঢোকা এবং বেরনোর গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে আন্দোলনকারীরা মেট্রো ব্যবহার করতে না পারে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যারিকেড টপকেই এগনোর চেষ্টা করেন পড়ুয়ারা। তাতেই পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে তাঁদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা এলোপাথাড়ি ইট ছুড়তে শুরু করেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে কমপক্ষে ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও, জামিয়া থেকে সুখদেব বিহার এবং মথুরা রোড হয়ে সরাইজুলেনা যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে মেট্রো পরিষেবাও স্বাভাবিক হয়ে যায়।
পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জ পুলিশের।
তবে শুধুমাত্র দিল্লি-ই নয়, নাগরিক সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ, অসম-সহ উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। গতকাল গুয়াহাটিতে পুলিশের গুলিতে ৩ ব্যক্তি (বেসরকারি মতে ৫)-র মৃত্যুর পর, এ দিনও অসমের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। মেঘালয়ের শিলংয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা, বহরমপুর-সহ বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও অশান্তির খবর উঠে এসেছে।