PM Narendra Modi

জি-৭ বৈঠকে যোগ দিতে আজ ইটালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

জি-৭-এর আমন্ত্রণমূলক সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার চব্বিশ ঘণ্টার সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাচ্ছেন ইটালি। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ০৭:৫৫
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

তৃতীয় দফায় নিজের প্রধানমন্ত্রিত্বে প্রথম কূটনৈতিক ইনিংস শুরু করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা এবং ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে। জি-৭-এর আমন্ত্রণমূলক সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার চব্বিশ ঘণ্টার সফরে তিনি যাচ্ছেন ইটালি। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে তাঁর।

Advertisement

আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, ইটালি, ব্রিটেন, জার্মানি ও জাপানকে নিয়ে এই জি-৭-এর পঞ্চাশতম অধিবেশন বসছে ‘নতুন ঠান্ডা যুদ্ধের’ ছায়ায়। এক দিকে পশ্চিমি বিশ্ব, অন্য দিকে চিন-রাশিয়ার অক্ষ। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ভারতের কাছে এই পরিস্থিতি একটা বড় সুযোগ জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নেওয়ার। আগামী মাসেই এসসিও সম্মেলনে যোগ গিতে মোদী কাজ়াখস্তান যাবেন। সেখানে চিনা ও রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হবে।

ভারতই একমাত্র বড় দেশ, যে আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার দর কষাকষির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে। তবে জি-৭ বৈঠকে অবশ্য মোদীর এই বিষয়ে সরব হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাঁর বক্তৃতায় থাকবে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাজনীতি, আফ্রিকা, পরিবেশের মতো বিষয়গুলি। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী তাঁর আগের মেয়াদে যে ভাবে দক্ষিণের (গ্লোবাল সাউথ) প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এ বারেও তাকেই এগিয়ে নিয়ে যাবেন, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে সাউথ ব্লক। বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রার কথায়, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটা নরেন্দ্র মোদীর প্রথম বিদেশ সফর। জি-৭ সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে ভারত ও গ্লোবাল সাউথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলার সুযোগ হবে তাঁর।’’ ভারতে গত বছর আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনের সঙ্গে মোদীর সফরকে সংযুক্ত করে কোয়াত্রা বলেন, ‘‘গত বছর ভারতের নেতৃত্বে হওয়া জি-২০ সম্মেলনের ফলাফলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও পাবেন প্রধানমন্ত্রী জি-৭ বৈঠকে, যে বিষয়গুলি বিশ্বের অনুন্নত এবং দরিদ্র রাষ্ট্রগুলির জন্য খুবই জরুরি।’’ গত বছরও হিরোশিমায় জি-৭-এ যোগ দেন মোদী। সেখানে পার্শ্ববৈঠকে তিনি দেখা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি-র সঙ্গে। এ বার তা হবে কি না এখনও নিশ্চিত নয়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

Advertisement

পরের দিন সুইৎজ়ারল্যান্ডে ইউক্রেন শান্তি বৈঠকে কিন্তু থাকবেন না প্রধানমন্ত্রী। আজ কোয়াত্রা সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘‘ইউক্রেন শান্তি বৈঠকে ভারত যোগদান করবে যথার্থ স্তরে। কে করবেন, সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে জানানো হবে।’’ সূত্রের খবর, বিদেশ মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের কোনও কূটনীতিককে পাঠানো হতে পারে ওই সম্মেলনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement