প্রতীকী ছবি।
পিএম কিষাণ যোজনায় সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি ট্রান্সফার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার মোট সাড়ে আট কোটি কৃষক পরিবারকে এই অর্থ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে প্রতি বছর কৃষকরা যে ৬ হাজার টাকা করে পান, তার মধ্যে ষষ্ঠ কিস্তির টাকা দেওয়া হল।
‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি যোজনা’ বা সংক্ষেপে ‘পিএম কিষাণ’ প্রকল্পে কৃষকরা প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা করে পান। কেন্দ্রের হিসেবে এই প্রকল্পে মোট সাড়ে ৯ কোটি কৃষক সাহায্য পান। এর জন্য প্রতি বছর কেন্দ্রের খরচ হয় প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এই কিস্তিতে মোট ১৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যে সব ফসল কৃষকরা এই সময় ঘরে তুলেছেন এবং নতুন করে চাষ শুরু করছেন, তাতে এই অর্থ সাহায্য কৃষকদের কাজে আসবে বলে মত কেন্দ্রের।
ঘোষণা হয়েছিল ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে। ‘প্রধামন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি যোজনা’ বা সংক্ষেপে ‘পিএম-কিষাণ’ যোজনায় বছরে ৬ হাজার টাকা করে কৃষকদের অর্থসাহায্য দেবে কেন্দ্র। বছরে মাত্র ছ’হাজার অর্থাৎ মাসে ৫০০ টাকা দেওয়া নিয়ে কটাক্ষও করেছিলেন বিরোধীরা। বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারের পাল্টা কংগ্রেস আবার ঘোষণা করেছিল, তারা ক্ষমতায় এলে কৃষকদের বছরে ১২ হাজার টাকা করে দেবে। কিন্তু দ্বিতীয়বার আরও বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ। দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। তখন থেকেই চালু হয়েছে এই প্রকল্প।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই, দেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪,৩৯৯
আরও পড়ুন: রানওয়ে ছোঁয়নি আইএক্স-১৩৪৪, বিপদসঙ্কেতও দেননি পাইলট
লকডাউনের সময়েও এই প্রকল্পে ২২ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। করোনাভাইরাস ও লকডাউনের মোকাবিলায় মোদী যে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’ ঘোষণা করেছিলেন, তার মধ্যে এই পিএম কিষাণ যোজনায় ২২ হাজার কোটি টাকা ট্রান্সফারের কথা বলেছিলেন। তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। চালু একটি প্রকল্পকে করোনা মোকাবিলায় আর্থিক সাহায্যের প্যাকেজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করায় প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। পরে অবশ্য যখন ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন, তার মধ্যে এই প্রকল্প রাখা হয়নি।