প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না হলে, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে মোদী থাকবেন কাশ্মীরে। ডাল লেকের ধারে, ২১ জুন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর ভূস্বর্গ-সফর হতে চলেছে। লোকসভা ভোটে বাকি দেশে ২০০টিরও বেশি জনসভা এবং ‘রোড-শো’ করলেও মোদীকে কাশ্মীর যেতে দেখা যায়নি। যদিও মার্চ মাসের গোড়ায় শ্রীনগরে গিয়ে ৬৪০০ কোটি টাকার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের যে স্বপ্নই দেখান, অথবা যোগ দিবসকে কেন্দ্র করে উপত্যকায় বিজেপির পক্ষে ইতিবাচক বাতাস বইয়ে দেওয়ার যে চেষ্টা করুন না কেন, রাজনৈতিক শিবির বলছে, স্থিতাবস্থা-বিরোধিতার হাওয়া চলছে কাশ্মীরে। চব্বিশের লোকসভার ফলাফলে যার ইঙ্গিত দিয়েছেন কাশ্মীরের মানুষ।
আপাতত ডাল লেকের ধারে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার’কে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থির আছে, ২০ জুন সন্ধ্যায় মোদী পৌঁছবেন শ্রীনগর। বিজেপির স্থানীয় শাখা মাঠে নেমে পড়েছে নতুন উৎসাহে। দলের এক কর্তা মহম্মদ আরিফ বলছেন, ‘‘কাশ্মীরের কাছে বিরাট সুযোগ মোদীজিকে অভ্যর্থনা জানানোর। তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই তিনি আমাদের এখানে আসছেন।’’ প্রসঙ্গত, এই মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরের বহুপ্রতীক্ষিত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে নির্বাচন কমিশনের থেকে। সূত্রের খবর, অগস্টের মধ্যে ভোটের কাজ শেষ করে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। তার আগে এই অনুষ্ঠানকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে স্থানীয় মহল।
ঘটনা হল, ২০১৮ সালের পরে এখানে পঞ্চায়েত ভোট হয়নি, ’১৪-র পর থেকে বিধানসভা ভোটের নামগন্ধ নেই। এক দিকে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ পরবর্তী ‘শান্তি’র বিজ্ঞাপন দেশ জুড়ে প্রচার করছে মোদী সরকার। যদিও তাঁদের মধ্যে গভীর বিচ্ছিন্নতার বোধ তৈরি হচ্ছে বলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মানুষ। তার উপর এখন বিধানসভা ভোটের জন্য নিরাপত্তার চিন্তা। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী যোগ দিবসের পাশাপাশি কাশ্মীরের মন জয়ের চেষ্টাও করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।