নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর হওয়া বিতর্কে অংশ নিয়ে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে নানা বিষয়ে বিঁধেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তার পরের দিনই লোকসভায় জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিট, অগ্নিবীর, মণিপুর-সহ নানা বিষয়ে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে মঙ্গলবার মোদী কী বলেন, সে দিকে নজর থাকবে শাসক-বিরোধী সব পক্ষের।
অষ্টাদশ লোকসভায় প্রথম জবাবি ভাষণ দেওয়ার আগে মোদী এনডিএ-র সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সেই বৈঠকে বিরোধী আক্রমণ মোকাবিলার রণকৌশল নির্ধারিত হতে পারে। সোমবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর হওয়া বিতর্কে অংশ নিয়ে নিট কেলেঙ্কারি, অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে সরব হন রাহুল। কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।
সোমবার রাহুলের হিন্দু মন্তব্য নিয়ে সরগরম হয়েছিল লোকসভা। রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ বিজেপির নাম না করেই বলেছিলেন, “যাঁরা নিজেদের হিন্দু বলেন, তাঁরা কেবল হিংসার কথা বলেন, ঘৃণার কথা এবং অসত্য কথা বলেন।” তার পরই ট্রেজ়ারি বেঞ্চ থেকে হইচই শুরু হয়ে যায়। বিজেপি সাংসদেরা রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন। এমনকি রাহুলের বক্তব্যের মাঝেই নিজের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “গোটা হিন্দু সম্প্রদায়কে হিংসাশ্রয়ী বলে দেগে দেওয়া খুবই গুরুতর বিষয়।” মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার এই ‘হিন্দু’ বিতর্কেও ফের মুখ খুলতে পারেন মোদী।