নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
একই অমরীশ পুরী। কোথাও বলছেন, ‘‘মোগাম্বো খুশ হুয়া, মেরা ভোটার আইডি বন গয়া।’’ আবার কখনও বলছেন, ‘‘যা সিমরন যা, বনওয়া লে আপনা ভোটার আইডি।’’ রাজেশ খন্না আসছেন তাঁর সুপারহিট সংলাপ নিয়ে, ‘‘পুষ্পা আই হেট টিয়ার্স। ইসে পোঁছ দো অওর ভোটার আইডি বনওয়া লো।’’
আগামী বছরেই লোকসভা ভোট। তার আগে সদ্য-প্রাপ্তবয়স্কদের পাশে পেতে এমনই অভিনব ফিল্মি প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, শাহরুখ খান, সলমন খান থেকে পরেশ রাওয়াল, কঙ্গনা রানাউত— সকলেরই জনপ্রিয় সংলাপ দিয়ে তৈরি সচিত্র পোস্টার ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছে তারা।
২০১৪ সালে বিপুল সংখ্যা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে ছিল দেশের যুবকদের একটি অংশের সমর্থন। কিন্তু গত সাড়ে তিন বছরে ক্রমশই ফিকে হচ্ছে ‘মোদী-ম্যাজিক’। বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। যা মোকাবিলায় এখন ‘পকোড়া’ বেচে ২০০ টাকা কামানোকেও রোজগারের নতুন মডেল হিসেবে মেলে ধরেছেন মোদী। ফের ভোট আসার আগে যুবকদের কাছে টানতে এখন মরিয়া তিনি।
বছরের গোড়াতেই তাই প্রধানমন্ত্রী দলকে দাওয়াই দিয়েছেন— ২০০০ সালে যাঁদের জন্ম তাঁরা এ বছর ১৮-তে পা দিয়ে ভোটাধিকার পাচ্ছেন। এই ‘শতাব্দীর ভোটার’দের সঙ্গে নিতে ঝাঁপাতে হবে দলকে। প্রধানমন্ত্রীর খোঁচা খেয়েই বলিউড তারকাদের বিখ্যাত সংলাপগুলি সামান্য অদল-বদল করে প্রচারে নেমেছে বিজেপির যুব মোর্চা। যুব মোর্চার প্রধান পুনম মহাজন বলেন, ‘‘২০১৪ সালে বিজেপিকে সবথেকে বেশি সমর্থন করেছিলেন যুবকরা। তাই শতাব্দীর নতুন ভোটারদের সচেতন করে সচিত্র পরিচয়পত্র বানাতে ২৫ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালাচ্ছি। এঁরাই হবেন নতুন ‘অ্যাম্বাসাডর’।’’
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, রাহুল গাঁধী সক্রিয় হওয়ার পর থেকেই যুবকদের নতুন আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে কংগ্রেস। পরশু ভোটমুখী মেঘালয়ে যাচ্ছেন রাহুল। সেখানে প্রায় ‘রকস্টার’-এর মতো অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়েছে তাঁর জন্য। এ দিকে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, দ্রুত খসছে মোদী তথা বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে নতুন যুবকদের মন জয়ে উঠে-পড়ে লেগেছেন প্রধানমন্ত্রী।