প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজ্য স্তরে কী ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান ও কর্মসংস্থানমুখী প্রশিক্ষণে আরও উৎসাহ দেওয়া যায়, তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে তিন দিনের বৈঠক শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে গত কাল থেকে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। শেষ হবে রবিবার। এই নিয়ে চতুর্থ বার রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সম্মেলন বসছে।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, দেশের জনবিন্যাসকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া যায়, সেটাই এ বারের মুখ্যসচিবদের সম্মেলনের প্রধান থিম। কারখানার উৎপাদন, পরিষেবা, অপ্রচলিত বিদ্যুৎ, বর্জ্য নির্ভর ব্যবসা, গ্রামে কৃষি ছাড়া অন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও নীতি আয়োগের কর্তারা আলোচনা করতে চাইছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
মোদী সরকার ২০৪৭-এ উন্নত অর্থনীতি বা বিকশিত ভারতের লক্ষ্য স্থির করেছে। শনিবার ও রবিবারের বৈঠকে বিকশিত ভারতের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক বৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে শহরগুলিকে গড়ে তোলা, রাজ্যে আরও বেশি লগ্নি ও আর্থিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে। কথা হবে আমলাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য মোদী সরকারের ‘মিশন কর্মযোগী’ নিয়েও। এতে রাজ্যের আমলাদেরও জুড়তে চাইছে মোদী সরকার।নীতি আয়োগের এক কর্তা বলেন, জনসংখ্যায় তরুণদের হার অনেক বেশি থাকায় তা থেকে এতদিন কারখানা, পরিষেবায় বাড়তি ফায়দা তোলার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে জনসংখ্যায় বয়স্কদের হার বাড়তে চলেছে। বয়স্ক মানুষদের দেখাশোনার জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে এখন থেকেই ভাবনাচিন্তা প্রয়োজন। তা নিয়ে মুখ্যসচিবদের সম্মেলনে আলোচনা হচ্ছে। ভোজ্য তেল ও ডালে কী ভাবে ভারত আত্মনির্ভর হতে পারে, কথা হচ্ছে তা নিয়েও। সৌরবিদ্যুতে উৎসাহ দিতে পিএম সূর্য ঘর প্রকল্পেও রাজ্যগুলি যাতে বাড়তি উৎসাহ নেয়, তার চেষ্টা করা হবে।