প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
সামনেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট, আর সেই ভোটে বিজেপির মুখ তিনিই। তাই রাজধানী দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২৩’-এর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ফোনের সঙ্গে তুলনা করে মোদীর দাবি, ২০১৪ সাল নিছক একটা তারিখ নয়, একটা বদলও বটে। সেই সময় মানুষ মেয়াদ উত্তীর্ণ ফোনের মতো কংগ্রেসকে বাতিল করে তাঁর সরকারকে নির্বাচিত করেছে, যারা পুরো পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।
এ দিন মোবাইল কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে তাঁর জমানার সাফল্যকে তুলে ধরতে গিয়ে মোদীর দাবি, তাঁর আমলেই ভারত ফোনের আমদানিকারক দেশ থেকে রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে এবং এখন অ্যাপল থেকে গুগল ভারতে তাঁদের কারখানা তৈরির জন্য লাইন দিচ্ছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জমানাকে অকেজো ফোনের সঙ্গে তুলনা করে মোদী বলেন, ‘‘যতই রিস্টার্ট করো আর ব্যাটারি বদলাও, কাজই হতো না। শেষে ২০১৪ সালে মানুষ ওই সব অকেজো ফোনকে বাতিল করে দিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ দেন।’’
দেশে মোবাইল ক্ষেত্রে ৫জি প্রযুক্তির ব্যবহার চালু হওয়ার পরে ভারত এখন ৬জি প্রযুক্তি আনার লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানিয়ে মোদীর দাবি, মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারে আগের জমানায় ভারতের স্থান ছিল বিশ্বে ১১৮। এখন তা হয়েছে ৪৩। ৫জি প্রযুক্তি চালু হওয়ার পরে দেশে চার লক্ষ ৫জি বেস স্টেশন তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেন মোদী।
মোদীর এ দিনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিরোধীরা বলেন, উনি প্রধানমন্ত্রী নন, নির্বাচন মন্ত্রী। দেশে মোবাইলের স্পিডের চেয়েও বেশি দরকার তরুণ প্রজন্মের কাজের সুযোগ। মোদীর জমানায় ভারতের বেকারত্বের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির দিকে নিশানা করে কংগ্রেসের বক্তব্য, মোদী জমানায় কর্মসংস্থান গতি হারিয়ে শূন্যে নেমেছে! গতি বেড়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুদের আয়বৃদ্ধির। মোদী জমানাকে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত অধ্যায় বলেও তোপ দেগেছেন একাধিক বিরোধী দলের নেতা। তাঁদের বক্তব্য, নিজের এবং নিজের সরকারের দিকে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে মরিয়া মোদী। সংবাদ সংস্থা