প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নরেন্দ্র মোদী সরকার নিয়েছিল, গত সপ্তাহে তাতে সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরে ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম বার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি হিন্দি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী জানিয়েছেন, এর পরে ব্রহ্মাণ্ডের কোনও শক্তি ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনতে পারবে না।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে মোদী সরকার। সে সময়ে সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে একাধিক মামলা হয়। গত সোমবার এ সংক্রান্ত একটি রায়ে সরকারের অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার বৈধ বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। আজ এ প্রসঙ্গে মুখ খুলে মোদী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এক দেশে কখনই দুই (সং)বিধান চালু থাকতে পারে না।’’ মোদীর দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পিছনে রাজনীতি নয়, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতির জন্য এটা প্রয়োজন ছিল।
এক সময়ে পিডিপি-র সঙ্গে হাত ধরে সরকার গড়লেও, ২০১৮ সালে মেহবুবা মুফতির সঙ্গে জোট ভেঙে দেয় বিজেপি। সেই থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। সেখানে আগামী বছরের মধ্যে ভোট করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফিরিয়ে দিতে বলেছে রাজ্যের মর্যাদা। যদিও সাক্ষাৎকারে তা নিয়ে মুখ খোলেননি মোদী। তবে উপত্যকায় পিডিপি ও এনসি দলের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে তিনি বলেন, উপত্যকার সমস্ত ক্ষমতা কিছু দল নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অথচ জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ কখনওই এই ধরনের স্বার্থান্বেষী রাজনীতির অংশ ছিলেন না, অংশ হতে চানও না। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ অতীতের সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে দেশের অন্য নাগরিকদের মতোই বৈষম্যহীন ভাবে নিজেদের বর্তমান ও সন্তানদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত দেখতে চান।