প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আদিবাসী এলাকায় কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে, তাই আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া অংশের ঐক্য তারা ভাঙতে চায়। ঝাড়খণ্ডের গুমলায় এক নির্বাচনী সমাবেশে এই অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে, আদিবাসীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘‘আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তা হলে সুরক্ষিত থাকবেন।’’ তাঁর অভিযোগ, তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসিদের সংরক্ষণও কেড়ে নিতে চাইছে কংগ্রেস।
চলতি মাসের ১৩ এবং ২০ তারিখ দু’দফায় ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ। আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে এখন জোরকদমে চলছে ভোটের প্রচার। আজ গুমলায় প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন। মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেস জানে যে, তারা আদিবাসী, ওবিসি এবং দলিত অধ্যুষিত এলাকায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। কারণ এই সম্প্রদায়গুলি একত্রিত হয়েছে, জোট বেঁধেছে... তাই কংগ্রেসের রাজপরিবার আমাদের এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের ঐক্যকে আক্রমণ করছে।”
ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ। তার প্রধান শরিক কংগ্রেসই ছিল আজ প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের নিশানায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণ কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস। মোদী বলেন, ‘‘ওরা (কংগ্রেস) চায় সংরক্ষণ ছিনিয়ে নিতে... সমস্ত তফসিলি জনজাতি, আদিবাসী সকলে যদি একজোট হয়ে থাকেন তা হলেই আপনাদের ক্ষমতা থাকবে... কংগ্রেস চাইছে আপনাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে, লড়াই লাগাতে... আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলেই সুরক্ষিত থাকবেন।’’
ওবিসি ভোটকে এনডিএ শিবিরের দিকে টানতে আজ চেষ্টার কোনও ত্রুটিই করেননি মোদী। তিনি অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীরা কখনওই ওবিসিদের সংরক্ষণের জন্য কিছু করেননি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘প্রথম থেকেই কংগ্রেস ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের বিরোধিতা করে আসছে। কাকা সাহেব কালেলকর ১৯৫৫ সালে বলেছিলেন যে, অনগ্রসর শ্রেণিগুলিকে সংরক্ষণ দেওয়া উচিত। জওহরলাল নেহরু ফাইলগুলি হিমঘরে রেখেছিলেন। ১৯৮০ সালে, মণ্ডল কমিশন সুপারিশ করেছিল যে ওবিসিদের সংরক্ষণ দেওয়া উচিত। ইন্দিরা গান্ধীও ফাইলটি হিমঘরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।’’
তাঁর সরকার ওবিসি সংরক্ষণে কী কী করেছে, তার লম্বা ফিরিস্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘আমার সরকার ক্ষমতায় আসার পর সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে অনগ্রসর শ্রেণিকে ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছে। আমরা অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদাও দিয়েছি।’’