প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
চব্বিশের লোকসভার আগে পাঁচ রাজ্যের ‘সেমিফাইনাল’-এর দিকে পাখির চোখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এর আগে ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানার আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কে আবেগের ঝড় তুলতে চেয়েছেন বক্তৃতার পর বক্তৃতায়। আর আজ মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে প্রচার শেষ হওয়ার দিন, মোদী বিরসা মুন্ডার গ্রাম ঝাড়খণ্ডের উলিহাটুতে গিয়ে নতমস্তক হলেন। ঘোষণা করলেন বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা। জনজাতি কল্যাণের জন্য ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন। এ ছাড়াও, সেখানে ১৮ হাজার কোটি টাকার পিএম কিষাণ প্রকল্পের ১৫ তম কিস্তি দানের ঘোষণা করেন মোদী।
কংগ্রেসের অভিযোগ, নেহাতই ভোটব্যাঙ্ককে বার্তা দিতে বিধানসভা ভোটের ঠিক মুখে, উদারহস্ত হয়েছেন মোদী। এটি জনমোহিনী দেউলিয়া রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়।
আজ মোদীর সফরসঙ্গী ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, স্পিকার ওম বিড়লা প্রমুখ। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। জনজাতি সম্প্রদায় কী ভাবে দেশের জন্য কাজ করেছেন সে কথা মনে করালেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু বিরসা মুন্ডাই নন, তাঁর বন্ধু ভগত, নীলাম্বর-পীতাম্বর, গয়া মুন্ডার কাহিনিও স্মরণ করলেন। এ দিন, জনজাতি গৌরব দিবসের সকালেই এক্স হ্যান্ডল-এ বিরসা মুন্ডাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোদী। লেখেন, “ভগবান বিরসা মুন্ডাজিকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। জনজাতি গৌরব দিবসের বিশেষ দিনে দেশ জুড়ে আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।”
ঝাড়খণ্ড থেকে ‘পিএম কিষাণ সম্মান নিধি’র ১৫তম কিস্তি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিশেষ প্রকল্পে সুবিধা পাবেন ৮ কোটি কৃষক। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, ‘পিএম কিষাণ’-এর অধীনে ১৫তম কিস্তি আজ অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর, ২০২৩-এ আসছে। ছত্তীসগঢ় এবং মধ্যপ্রদেশে দুই দিনে, রাজস্থানে ১০ দিনে এবং তেলঙ্গানায় ১৫ দিনের মধ্যে যখন নির্বাচন হতে চলেছে, তখন ১৫তম কিস্তি দেওয়া হচ্ছে। যেখানে ভোটমুখী রাজ্যে ভোটের প্রচার ঘিরে রয়েছে কড়া বিধি, সেখানে এই কেন্দ্রীয় ঘোষণা ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ‘পিএম কিষাণ’-এর আওতায় দেশে ৮ কোটি কৃষক এই কিস্তিতে ২ হাজার টাকা করে পাবেন।