প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র ।
দিল্লিতে আবার মুখোমুখি বসতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫ ডিসেম্বর মোদী-মমতার মুখোমুখি বসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। কথা হতে পারে রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে। ৫ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও। ৫ ডিসেম্বর সেই বৈঠক হবে বলে স্থির হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর এই বৈঠকের পরই আলাদা করে মুখোমুখি বসতে পারেন মমতা-মোদী।
এই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের বকেয়া টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এই মর্মে সম্প্রতি কেন্দ্রকে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য বরাদ্দ মোট ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে প্রথম দফার ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। প্রকল্পের আওতায় প্রথম দফায় ৮৫৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। তবে ওই প্রকল্পের জন্য এখনও কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য রয়েছে ৪ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। সে নিয়ে মোদী-মমতা সাক্ষাতের সময় কথা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়েও আলোচনা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। রাজ্যের দাবি, গত ডিসেম্বর মাস থেকে কেন্দ্রের তরফে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাঠানো বন্ধ রয়েছে। সেই টাকার পরিমাণও নেহাত কম নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা সেই বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি মোদীর কাছে তুলতে পারেন বলেও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ রাজ্যের পাওনা নিয়ে কথা বলেন তিনি। আলোচনা হয় ১০০ দিনের কাজ এবং গ্রাম সড়ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দ নিয়েও। তবে নবান্ন সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে রাজ্যকে কোনও বার্তা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের দাবি, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে মোট ৭ হাজার কোটি টাকা।
পাশাপাশি এই সাক্ষাতে গঙ্গা ভাঙন নিয়েও প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ফরাক্কা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় প্রতি বছর গঙ্গা ভাঙনের জেরে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। এর জেরে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙন সংক্রান্ত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।