প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।
সুখবর শহর কলকাতার জন্য। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দেশের তিন প্রান্তে তিনটি পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৩০ কোটি টাকার এই অভিযানের অন্যতম অংশীদার কলকাতার ‘এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস’ (এসএনবিএনসিবিএস)। অত্যাধুনিক যন্ত্রগুলি ‘ন্যাশনাল সুপারকম্পিউটিং মিশন’ (এনএসএম)-এর আওতায় দেশেই তৈরি। কলকাতা ছাড়া দিল্লি এবং পুণেতে থাকছে এই কম্পিউটার।
পদার্থবিজ্ঞান থেকে শুরু করে ভূবিজ্ঞান, মহাকাশ গবেষণায় সাহায্য করবে সুপারকম্পিউটারগুলি। আজ ‘অর্ক’ ও ‘অরুণিকা’ নামে একটি হাই পারফর্ম্যান্স কম্পিউটিং (এইচপিসি) সিস্টেম-এরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটি আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষণায় সাহায্য করবে।
এসএনবিএনসিবিএস-এর ডিরেক্টর তনুশ্রী সাহা দাশগুপ্ত জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে এই সুপারকম্পিউটার থাকলেও এটি ব্যবহার করতে পারবে বহু প্রতিষ্ঠান। এমনকি, শিল্প সংস্থাগুলিও। তনুশ্রী বলেন, “সরকার কলকাতায় একটি সুপারকম্পিউটার হাব তৈরি করছে। এতে একাধিক গবেষণা সংস্থা সম্মিলিত ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করতে পারবে।” তিনি জানান, সুপারকম্পিউটার নিয়ে যখন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সরকারকে, তখন তাঁদের সঙ্গে যুক্ত ছিল বোস ইনস্টিটিউট, আইআইএসইআর কলকাতা, সাহা ইনস্টিটিউট, আইআইসিবি-র মতো প্রতিষ্ঠান। ফলে এসএনবিএনসিবিএস-এর মতো সুপারকম্পিউটিং ব্যবস্থায় উপকৃত হবে এই সংস্থাগুলিও।
সুপারকম্পিউটারের বিশেষত্ব বোঝাতে গিয়ে তনুশ্রী বলেন, “গণিতের হিসাব ক্যালকুলেটরেও করা যায়, আবার কম্পিউটারেও করা যায়। কিন্তু দুটো যন্ত্রের ক্ষমতার ফারাক রয়েছে। বর্তমানে ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলোর সঙ্গে সুপারকম্পিউটারের ফারাক ঠিক সেই ক্ষমতাতেই। বায়োলজিক্যাল মডেলিং, মলিকিউলার মডেলিং নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের হিসেবনিকেশের গতির মাত্রা বা বিশালতা বাড়িয়ে দেবে এই যন্ত্র।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরম রুদ্র সুপারকম্পিউটারের সাহায্যে ও নতুন ‘এইচপিসি সিস্টেম’ ব্যবহার করে ভারত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষমতায় স্বনির্ভর হবে।