জাপানের হিরোশিমা বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ছবি: পিটিআই।
জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার জাপানে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিকেলে হিরোশিমা বিমানবন্দরে অবতরণের পরে প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ‘‘জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে হিরোশিমায় অবতরণ করেছি। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কর্মসূচি রয়েছে।’’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত হিসাবে হিরোসিমায় থাকবেন। সেখানে মোদীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হতে পারে।
আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি এবং জাপানকে নিয়ে গঠিত জি৭ গোষ্ঠী। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার আমন্ত্রণে জি৭ ভুক্ত রাষ্ট্রের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত দেশ হিসাবে যোগ দিচ্ছে ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে এ বারের শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্ব বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। সেখানে বক্তৃতার পাশাপাশি সদস্য-রাষ্ট্রগুলির নেতাদের সঙ্গেও পৃথক ভাবে বৈঠক করার কথা মোদীর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার পরমাণু বোমায় ধ্বংস হওয়া হিরোশিমা শহরে মহাত্মা গান্ধীর একটি আবক্ষমূর্তির আবরণ উন্মোচন কর্মসূচিতেও যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বারের ৩ দিনের বিদেশ সফরে জাপানের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনি এবং অস্ট্রেলিয়াতেও যাবে প্রধানমন্ত্রী। মোট ৪০টি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
পাপুয়া নিউগিনিতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা সম্মেলনে যোগ দেবেন মোদী। পাশাপাশি, প্রশান্ত মহাসাগরীয় ওই দ্বীপরাষ্ট্রে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকেও তাঁর যোগ দেওয়ার কথা। সেখান থেকে তিনি যাবেন অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে। ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত জোট ‘কোয়াড’-এর সম্মেলনে যোগ দিতে। ওই বৈঠকে প্রধান আলোচ্য হতে পারে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের সামরিক তৎপরতার মোকাবিলা।