Narendra Modi

NEP: বাংলাতেও পড়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিং, জাতীয় শিক্ষানীতি পথ দেখাবে, দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদীর

মোদী ঘোষণা করেন ‘অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিট’-এর কথা। তিনি বলেন, ‘‘কোনও পড়ুয়া একটি কোর্স থেকে যখন খুশি বেরিয়ে যেতে পারবেন।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২১ ১৮:০৫
Share:

নিজস্ব চিত্র

বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে একাধিক ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বললেন, ২০২০ সালে যে জাতীয় শিক্ষানীতির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, তা ভবিষ্যতে পথ দেখাবে। মোদী ঘোষণা করলেন, দেশের আটটি রাজ্যের ১৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পাঁচ আঞ্চলিক ভাষায় পড়ার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। এই আঞ্চলিক ভাষার তালিকায় রয়েছে বাংলাও। অর্থাৎ এর পর থেকে বাংলাতেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে। এর জন্য বিশেষ অনুবাদের ‘টুল’ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী বক্তব্যে বলেন, ‘‘আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা শুরু হলে দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের সবচেয়ে সুবিধা হবে। কারণ, তাঁদের জীবনে ভাষা সবসময় বাধা হয়ে দাঁড়াত। আঞ্চলিক ভাষায় কারিগরি শিক্ষা চালু হলে তাঁরা আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে।’’

Advertisement

এ ছাড়া মোদী বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন ‘অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিট’-এর কথা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে যে কোনও পড়ুয়া যে কোনও কোর্স থেকে যখন খুশি বেরিয়ে যেতে পারবেন, আবার অন্য কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। যেখানে তিনি পড়া ছেড়ে এসেছিলেন, ফের সেখানেই ভর্তি হতে পারবেন যে কোনও সময়। মোদী বলেন, ‘‘অনেকেই একটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার পর ভাবেন, তিনি বোধহয় ভুল করে ফেলেছেন। কিন্তু এ বার থেকে তা আর হবে না। কোর্সের মধ্যে যদি মনে হয় কোর্সটি ঠিক নয়, তা হলে সেটি বদলাতে পারবেন পড়ুয়া।’’ একেই পরিভাষায় বলা হচ্ছে অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিট। মোদী প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ‘প্লে-স্কুল’-এর কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘এতদিন বড় বড় শহরের শিশুরাই প্লে স্কুলে পড়তে পারত। কিন্ত ‘বিদ্যা প্রবেশ’ প্রকল্প চালু হলে এই সুযোগ পৌঁছে যাবে গ্রামে গ্রামে। এটি তিন মাসের একটি স্কুল পূর্ববর্তী কোর্স, যা প্লে স্কুলের মতো শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করবে। গ্রামে গ্রামে ‘বিদ্যা প্রবেশ’ নামে এই প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হবে।

মোদী বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ‘নিষ্ঠা ২.০’ নামে একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, ‘সাংকেতিক ভাষা (সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ)’, দেশের বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের আজ প্রয়োজন পড়ে। সেটিকেও একটি পৃথক ভাষার মর্যাদা দেওয়া হবে। মোদী বলেন, ‘‘এর ফলে দেশের বহু বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়ার উপকার হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement