Modi-Biden Meeting

ড্রোন চুক্তি থেকে শুরু করে সুপার হারকিউলিস চুক্তি, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিরক্ষায় গুরুত্ব মোদীর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে ড্রোন বিমান এবং সুপার হারকিউলিস সংক্রান্ত চুক্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৭
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক। ছবি: পিটিআই।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হল। উঠে এল ভারত-আমেরিকা সামরিক ড্রোন চুক্তির প্রসঙ্গও। আমেরিকান সংস্থা জেনারেল অ্যাটোমিক্‌সের থেকে ৩১টি ‘এমকিউ-৯বি’ ড্রোন কিনছে ভারত। এর মধ্যে ১৬টি রয়েছে ‘স্কাই গার্ডিয়ান’ এবং ১৫টি ‘সি গার্ডিয়ান’। এই ড্রোনগুলি হল আসলে পাইলটহীন যুদ্ধবিমান, যা ভারতের সশস্ত্রবাহিনী ব্যবহার করবে। ক্যালিফর্নিয়ার ওই সংস্থার সঙ্গে ভারতের চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বাইডেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কিত বাণিজ্যিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়গুলিও উঠে আসে দু’পক্ষের আলোচনায়।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক যে পথে এগিয়েছে, তাতে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের এই সামরিক ড্রোন চুক্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। পূর্ব লাদাখ ও অরুণাচলের সীমান্তে চিন লাল ফৌজের জওয়ান ও সমরসজ্জা বিগত দিনগুলিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করেছে। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তানকেও চিন সামরিক সাহায্য করছে। সূত্রের দাবি, চিন থেকে কাই হং-৪ ও উইং লুং-২ ড্রোন সরবরাহ করা হচ্ছে পাকিস্তানকে। ইতিমধ্যেই সাতটি কাই হং-৪ ড্রোন রয়েছে পাকিস্তানের হাতে। সম্প্রতি বেজিংয়ের থেকে আরও ১৬টি কাই হং-৪ চেয়েছে ইসলামবাদ। এই পরিস্থিতিতে ভারত-আমেরিকা ড্রোন যুক্তি দিল্লির জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৪০ হাজার ফুটের বেশি উঁচু জায়গা থেকে নজরদারি চালাতে পারে এই পাইলটহীন ড্রোন। একটানা ৪০ ঘণ্টারও বেশি আকাশে উড়তে পারে। এতে রয়েছে ‘হেলফায়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র, যা লক্ষ্যবস্তুতে অব্যর্থ নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম। সূত্রের খবর, এই ৩১টি ‘হান্টার কিলার’-এর জন্য আমেরিকান সংস্থা দর হেঁকেছে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি)। সঙ্গে দেবে ১৭০টি ‘হেলফায়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র, ৩১০টি বোমা, দিকনির্ধারণ যন্ত্র, সেন্সর ও মাটি থেকে ওই লড়াকু ড্রোন চালনার যন্ত্র।

Advertisement

পাশাপাশি সি-১৩০জে ‘সুপার হারকিউলিস’ বিমানের জন্য মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন এবং টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম্‌স লিমিটেডের মধ্যে সাম্প্রতিক চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য পরিবহণ বিমান সি-১৩০ সুপার হারকিউলিস রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির জন্য এ দেশের মাটিতেই তৈরি হচ্ছে কারখানা। আমেরিকার বিমান নির্মাতা সংস্থা লকহিড মার্টিনের সঙ্গে এই প্রকল্পে শামিল হচ্ছে টাটা শিল্পগোষ্ঠী। সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্ব জুড়ে ২৩টি দেশে লকহিড মার্টিনের ২৭টি মেন্টেন্যান্স-রিপেয়ারিং-ওভারহলিং (এমআরও) রয়েছে। এ বার টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভারতে যৌথ ভাবে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement