জন্মদিনে লালকৃষ্ণ আডবাণীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। —ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি-র প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর ৯৪তম জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার একটি টুইট-বার্তায় আডবাণীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাঁর বাড়িতেও যান প্রধানমন্ত্রী। মোদীর সঙ্গে আডবাণীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ দলের একাধিক নেতা-কর্মী।
সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে আডবাণীর প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সম্মাননীয় আডবাণী’জিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। তাঁর দীর্ঘজীবন এবং সুস্থতার প্রার্থনা করি। আমাদের সাংস্কৃতিক গরিমা এবং জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য প্রচেষ্টায় দেশ তাঁর কাছে সব সময় ঋণী হয়ে থাকবে। তাঁর পাণ্ডিত্য এবং জ্ঞানের জন্য সর্বস্তরেই তিনি সম্মানিত হয়েছেন।’
বিজেপি-র সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সভাপতি থাকা আডবাণীকে তাঁর জন্মদিনে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজনাথও। প্রবীণ এই নেতাকে পথপদর্শক হিসাবেও উল্লেখ করেন রাজনাথ।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতি মানুষের বিশ্বাসে ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত নতুন করে বিশ্বাস অর্জনে দলীয় কর্মীদের মাঠে নামতে রবিবারই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী। ভোজ্য তেলের দামও আকাশ ছুঁয়েছে। বিপুল দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যেরই। দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে মোদী সরকার বারবার দাবি করলেও চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, মুডি’জ ও মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ। করোনার দু’টি ধাক্কায় কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, চাকরির হাল, জিনিসপত্রের দামের কারণে সরকারের উপরে সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন বলে মেনে নিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। এর মধ্যে বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। ২০২৪ সালের আগে যা কার্যত মোদী সরকারের লিটমাস পরীক্ষা। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ হাতছাড়া হলে আগামী লোকসভায় দলের ক্ষমতায় ফেরা যে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে, তা বিলক্ষণ জানেন মোদী-অমিত শাহেরা। তাই রবিবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সর্বাগ্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে তৎপর হয়েছেন মোদী।
এরই পাশাপাশি, মোদী-শাহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে যিনি মোটেই পরিচিত নন, সেই লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়িতে গিয়েও দলীয় কর্মীদের প্রতি একটি বার্তা দিতে চাইলেন মোদী। বার্তাটি এই যে, দলীয় কোন্দল ভুলে আগামী দিনে কাজ করতে আডবাণী-শিবিরকেও পাশে চান মোদী।