‘বন্ধুত্বের পাইপলাইন’ পাতলেন নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা। ফাইল চিত্র।
দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আরও নিবিড় করল ঢাকা এবং নয়াদিল্লি। শনিবার বন্ধুত্বের পাইপলাইনের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছিল ৩৭৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে ২৮৫ কোটি টাকা খরচ করা হয় শুধু বাংলাদেশের দিকে পাইপলাইন নির্মাণের জন্যই। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে পরিশোধিত ডিজেল পৌঁছবে উত্তর বাংলাদেশের ৭টি জেলায়। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম পাইপলাইন সংযোগ চালু হল।
শনিবার বিকেলে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যৌথ ভাবে ‘বন্ধুত্বে’র এই প্রকল্পের সূচনা করেন মোদী এবং হাসিনা। প্রকল্পের সূচনা করে হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদী। বলেন, “গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রমিক অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের সেই উন্নয়নযাত্রার শরিক হতে পেরে প্রতিটি ভারতবাসী গর্ব অনুভব করছেন।” প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে শেখ মুজিবর রহমানের প্রসঙ্গও। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে মোদী জানান, মুজিবর যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর এক মিলিয়ন মেট্রিক টন ডিজেল যাবে এই পাইপলাইন দিয়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে গোটা বিশ্বেই জ্বালানি সঙ্কট ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে। সেই আবহে শক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের এই বোঝাপড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।