অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়ের বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে বাছবিচার করা হবে না বলে জানিয়ে দিল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়ের বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাস দমনে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
বর্তমান ভূকৌশলগত রণনীতির প্রশ্নে এই সহযোগিতা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। যৌথ বিবৃতিতে কোনও দেশের নাম না করা হলেও বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের নেপথ্যে রাষ্ট্রীয় ভূমিকার প্রসঙ্গ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিশানায় যে পাকিস্তান, তা নিয়ে সন্দেহ নেই কূটনীতিকদের একাংশের।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা যাতে কোথাও আশ্রয় না পায়, কোনও দেশের জমিকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করতে না পারে, তা সুনিশ্চিত করতে ধারাবাহিক ভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। যে সব কারণে সন্ত্রাসের জন্ম হয়, সেগুলিও চিহ্নিত করে নির্মূল করার চেষ্টার কথা বলেছেন মোদী-অ্যালবানেজ়। এসেছে ২৬/১১ মুম্বই হামলা এবং পাঠানকোটের সেনাশিবিরে জঙ্গি হানার প্রসঙ্গও।
ওই বৈঠকেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য কমাতে কোয়াডের অন্যতম প্রধান দুই সদস্য রাষ্ট্র ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রনেতারা পারস্পরিক সহযোগিতা আরও মজবুত করার কথা বলেছেন। দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নৌ-সেনা আধিকারিকদের মধ্যে মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যোগাযোগ এবং তথ্য আদানপ্রদান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরে দু’দেশের কর্তারা নিজেদের মধ্যে বেশ কিছু সমঝোতাপত্র সই করেন। তার মধ্যে সৌরশক্তিতে যৌথ টাস্ক ফোর্স তৈরি, ক্রীড়াক্ষেত্রে সহযোগিতা, বৈদ্যুতিন প্রচার মাধ্যমে পারস্পরিক বিনিময়ের মতো বিষয় রয়েছে।