শরিকদের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ গড়ে তুলতে এনডিএ জোটের বৈঠক ডাকল বিজেপি। —ফাইল চিত্র।
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে শরিকদের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ গড়ে তুলতে এনডিএ জোটের বৈঠক ডাকল বিজেপি। দিল্লিতে হওয়া আগামী ১৮ জুলাইয়ের ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ওই দিনই বেঙ্গালুরুতে জোট নিয়ে বৈঠক বসছেন বিজেপি-বিরোধী সমমনস্ক দলের নেতারা।
বিরোধীদের বিজেপি-বিরোধী তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়া এবং আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এনডিএ জোটে নতুন করে প্রাণসঞ্চার করতে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে শিরোমণি অকালি দল, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি নতুন করে যোগ দেয় কি না, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। এরই মধ্যে বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন সদ্য নীতীশের সঙ্গ ছেড়ে এনডিএ-তে যোগদানকারী হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার নেতা জিতনরাম মাঝি। বিহারে নীতীশ কুমারের বিরোধিতা করে এনডিএ ছেড়েছিলেন এলজেপি-র চিরাগ পাসোয়ান। এখন নীতীশ এনডিএ ছেড়ে চলে যাওয়ায় এনডিএ জোটে ফিরতে আগ্রহী চিরাগ। বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি গিয়েছে তাঁর কাছেও। দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর দল এনডিএ বৈঠকে যোগ দেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানয়িছেন রামবিলাস-পুত্র। বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে একনাথ শিন্দের বিক্ষুব্ধ শিবসেনা, অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন বিক্ষুব্ধ এনসিপি এবং উত্তরপ্রদেশের আপনা দলের। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু ছোট দলের বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। হরিয়ানায় জেজেপি-র সঙ্গে বিজেপির মনান্তর জারি রয়েছে। ফলে তাদের যোগদান নিয়ে সংশয় রয়েছে।
মূলত কর্নাটকে কংগ্রেসের কাছে পর্যুদস্ত হওয়া, বিরোধীদের একজোট হওয়া এবং আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট মাথায় নিয়ে শরিকদের প্রয়োজন আবার অনুভব করতে শুরু করেছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। বিশেষ করে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। তাই পুরনো শরিকদের নতুন করে কাছে টানার লক্ষ্যে গত চার বছরে এই প্রথম বার এনডিএ জোটের বৈঠক ডেকেছে বিজেপি। কিন্তু বিরোধী দলগুলি যে ভাবে একে অপরের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে বেশ অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ দু’দলের জোট শক্তির বিচারে ধারে ও ভারে বিরোধীরা যে ভাবে শক্তি বৃদ্ধি করছে, তাতে দল কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতারা। সে কারণে দ্রুত নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনডিএ-র সম্প্রসারণে উদ্যোগী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা।