প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যে যে সব তদন্ত শুরু হয়েছিল, তা-ও বন্ধ করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে পড়ার ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের তদন্তকারী কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। ওই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। এ ছাড়া প্যানেলের বাকি তিন সদস্য হিসেবে থাকছেন চণ্ডীগড়ের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ-র আইজি এবং হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। একই সঙ্গে পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যে যে সব তদন্ত শুরু হয়েছিল, তা-ও বন্ধ করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত বুধবার পঞ্জাবে একটি জনসভায় যাওয়ার পথে কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে মোদীর কনভয় প্রায় ১৫-২০ মিনিট আটকে থাকে একটি উড়ালপুলের উপর। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উঠেছে বিজেপি-কংগ্রেস বাগযুদ্ধ। একদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ঘটনাটিকে পঞ্জাব সরকারের গাফিলতি বলে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের বক্তব্য স্বতস্ফূর্ত কৃষক আন্দোলনের জেরেই এই ঘটনা। এতে পঞ্জাব সরকারের কিছু করার ছিল না। যদিও এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছিল পঞ্জাব প্রশাসন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সোমবার জানিয়ে দেয়, মোদীর নিরাপত্তা বিপর্যয়ের অন্যান্য তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করার দরকার নেই। প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা জানান, পঞ্জাবের ডিজি এ ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে। সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সফর অনেকদিন আগে থেকেই পরিকল্পিত ছিল। প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের পথে যাতে কোনওরকম বাধা বিপত্তি না আসে, তা দেখার কথা ছিল রাজ্য সরকারের। তাঁরা সেই দায়িত্ব পালন করেননি। এটা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের গাফিলতি। অথচ তারপরও পঞ্জাব সরকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’’