বারাণসীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার বেশ কয়েকমাস আগেই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের গুণগানে পঞ্চমুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী যোগীর তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বারাণসীতে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে একটি সরকারি কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার মোদী বললেন, “যে ভাবে উত্তরপ্রদেশ সরকার কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ রুখে দিতে পেরেছে এবংদ্রুত সংক্রমণে রাশ টানতে পেরেছে তা অভূতপূর্ব।”
প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর অবশ্য কটাক্ষ করতে দেরি করেনি তৃণমূল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। লিখেছেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) ১৫ জুলাইটিকে ১ এপ্রিল মনে করেছেন!’ ১ এপ্রিল অর্থাৎ ‘এপ্রিল ফুল’। যে দিনটিকে ‘বোকা বানানোর দিন’ হিসেবে মনে করে গোটা বিশ্ব।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশে তা ভয়াবহ রূপ নেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তর প্রদেশে গঙ্গা ও অন্যান্য নদীতে কোভিডে মৃতদের দেহ ভেসে যাওয়ার একের পর এক ছবিও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীদের শয্যা ও অক্সিজেনের ভয়াবহ সঙ্কটও বহু বার সংবাদের শিরোনাম হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়ে কোভিড মোকাবিলায় যোগী সরকারের ভূমিকাকে দরাজ শংসাপত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী।বারাণসীর জনসভায় মোদী বলেছেন, “এর আগে অনেক ছোট ছোট ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাবে রাজ্যে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ কাবু হয়েছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাবে বাপ্রশাসনিক সদিচ্ছার অভাবে। এ বার কিন্তু কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়েও সেটা হতে দেখা যায়নি। এটা যোগী সরকারের অভূতপূর্ব তৎপরতার জন্যই সম্ভব হয়েছে।”মোদীর আরও দাবি, উত্তরপ্রদেশেই সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ ও কোভিড পরীক্ষা হয়েছে এ দেশে।
আরও পড়ুন
নবান্ন থেকে হঠাৎই রাজভবনে, মমতার সঙ্গে ধনখড়ের দু’ঘণ্টার একান্ত বৈঠক
আরও পড়ুন
ঘনিষ্ঠ হয়েছি, কিন্তু অঞ্জনদা আর আমি ভিজে চুমু খাইনি: সন্দীপ্তা
নীতির কারবারিরা মনে করছেন, কোভিডের মোকাবিলায় সারা দেশেই সামগ্রিক বাবে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে মোদী সরকার। বিভিন্ন নির্বাচনেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সেই আবহেই আসছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশের ভোট। যা ঘটনাচক্রে, মোদীর নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রটিকেও ধারণ করে। সে কারণেই মোদী উত্তর প্রদেশকে দরাজ শংসায় ভরিয়ে দিতে শুরু করেছেন বলে রাজনীতির কারবারিদের ধারনা। কারণ, উত্তরপ্রদেশে ভোটের ফলাফলে ওদিক-ওদিক হলে তার ছাপ মোদীর শাসন এবং তাঁর জনপ্রিয়তার উপরেও পড়বে।