ফাইল ছবি।
এখনকার যুবক, যুবতীরা স্বজনপোষণ পছন্দ করেন না। পছন্দ করেন না সরকারের স্থায়িত্বের অনিশ্চয়তা। উচ্ছৃঙ্খলতা। জাতপাতের রাজনীতি। বছরের শেষ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে রবিবার এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর)-এর বিরুদ্ধে যখন তোলপাড় গোটা দেশ, বিক্ষোভ ও হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, তখন কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বিকল্প ভাবনাচিন্তা শুরু হলে কী পরিণতি ঘটতে পারে, সম্ভবত সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ দিনের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকের যুব সম্প্রদায় একেবারেই অন্য রকম। তাঁরা শতাব্দীর ভাবনা ভাবেন। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি অনুরক্ত। তাঁরা সবাই এখন অত্যাধুনিক ‘জেড’ প্রজন্ম। আগামী দশকে এই যুব সম্প্রদায়ই দেশের চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে। এখনকার যুব সম্প্রদায় নিয়ম, শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। হাজারো বিষয় সম্পর্কে তাঁরা খোঁজখবর রাখেন। তাঁদের উপর নিজস্ব মতামতও রয়েছে তাঁদের। এটা একটা বিরাট ব্যাপার। এই যুব সম্প্রদায় স্বজনপোষণ, সরকারের স্থায়িত্বের অনিশ্চয়তা, উচ্ছৃঙ্খলতা, জাতপাতের রাজনীতি পছন্দ করে না।’’
পশ্চিম বিহারের চম্পারণ জেলায় একটি স্কুলের প্রাক্তনীরা কী ভাবে কোনও সরকারি কর্মসূচি, কোনও সরকারি উদ্যোগ ছাড়াই একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছে, তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সেই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে এই সব কাজে যুব সম্প্রদায়কে আরও বেশি করে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।