পিনারাই বিজয়ন। ফাইল চিত্র।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিলের প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ করিয়েছে কেরলের বামপন্থী সরকার। এ বার দেশ জুড়ে বিরোধীদের একজোট করতে উদ্যোগী হয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গণতন্ত্র রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১১ জন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, পঞ্জাব, পুদুচেরি ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বিজয়ন। এর মধ্যে একমাত্র বিহারে জোট সরকারে রয়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, পুদুচেরি, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার। ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রে শাসক জোটে রয়েছে কংগ্রেস। দিল্লি, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষমতায় আঞ্চলিক দল। চিঠিতে বিজয়ন লিখেছেন, ‘‘সিএএ নিয়ে দেশের বড় অংশে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার স্বার্থে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার এটাই সময়। দলমত নির্বিশেষে একজোট হওয়া জরুরি।’’
কেরল সরকার গত ৩১ ডিসেম্বর বিধানসভায় সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। শিলচরে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি আজ অ-বিজেপি রাজ্যগুলিকে কেরলের পথে হাঁটার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কেরলের মত আপনারাও সিএএ বাতিলের প্রস্তাব গ্রহণ করুন। সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নিন৷’’
বিজয়নের চিঠি সম্পর্কে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, অধিকাংশ অ-বিজেপি রাজ্য সিএএ-বিরোধী। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে যা লিখেছেন, তার সঙ্গে নীতিগত বিরোধ নেই। তাঁর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সকলের আগে এনআরসি-বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়েছে। আমাদের নেত্রী পথে নেমে সিএএ, এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতীয় স্তরে সব বিরোধী দলকে নিয়ে বসার ব্যাপারে তিনিই প্রথম উদ্যোগী হয়েছেন। বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।’’