নিয়ন্ত্রণ হারানো সেই বাস। ছবি: সংগৃহীত।
অমরনাথ যাত্রা শুরু হতে না হতেই বিপত্তি। পুণ্যার্থীবোঝাই বাসের ‘ব্রেক ফেল’। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাসটি। প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কিত যাত্রীরা চলন্ত বাস থেকেই ঝাঁপ মারেন। ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
মঙ্গলবার অমরনাথ থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে পঞ্জাবের হোশিপুরের যাচ্ছিল একটি বাস। সেই বাসে ছিলেন ৪০ জন যাত্রী। সকলেই পঞ্জাবের বাসিন্দা। রানবান জেলার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকাই বাসের ‘ব্রেক ফেল’ করে। সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার কিছু ভিডিয়ো ছড়িয়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) ।ভিডিয়োগুলিতে দেখা যাচ্ছে, বাসে থাকা পুণ্যার্থীরা চলন্ত বাস থেকেই একে একে লাফ মারছেন। কেউ দরজা দিয়ে, কেউ আবার জানলা দিয়েই ঝাঁপ মেরে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলন্ত বাস থেকে ঝাঁপ মারার কারণে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। ঘটনা নজরে আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভারতীয় সেনা এবং পুলিশ। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছিল। কোনও ক্রমে সেই বাস থামাতে সক্ষম হয় তারা। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘বাসটি খাদে পড়ে গেলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। সেই দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।’’
সেনাবাহিনীর ‘কুইক রিঅ্যাকশন টিম’ ঘটনাস্থলে যায়। খবর দেওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সকেও। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিক্যাল ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তবে কারও আঘাতই গুরুতর নয়।
প্রতিকূল মরসুম এবং জঙ্গি হানার আশঙ্কাকে সঙ্গী করেই চলতি বছরের অমরনাথ তীর্থযাত্রা শুরু হয়েছে ২৯ জুন থেকে। এ বারের ৫২ দিনের অমরনাথ দর্শন পর্ব চলবে দু’টি যাত্রাপথে। অনন্তনাগের ৪৮ কিলোমিটারের নুনওয়ান-পহেলগাঁও এবং এবং গান্ডেরওয়ালের ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পুরনো বালতালের পথে। আগামী ১৯ অগস্ট পর্যন্ত চলবে অমরনাথ তীর্থযাত্রা।