Covid-19

কোভিড-ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছে শূকরের দল

কর্নাটকের কলবুর্গী জেলার একটি হাসপাতালে দেখা গিয়েছে কোভিড-ওয়ার্ডে বিনা বাধায় এক দল শূকর বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের নিয়ে ভ্রুক্ষেপও নেই হাসপাতাল কর্মীদের।

Advertisement
বরেলী ও বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি

বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যে কোভিড হাসপাতালের বেহাল ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে সরর রাজনীতিক থেকে নেট-দুনিয়ার একটা বড় অংশ।

Advertisement

কর্নাটকের কলবুর্গী জেলার একটি হাসপাতালে দেখা গিয়েছে কোভিড-ওয়ার্ডে বিনা বাধায় এক দল শূকর বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের নিয়ে ভ্রুক্ষেপও নেই হাসপাতাল কর্মীদের। আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বরেলীর একটি হাসপাতালের কোভিড-ওয়ার্ডে ছাদের গর্ত দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ছে। ভেসে যাচ্ছে ওয়ার্ড। দু’টি ঘটনার ভিডিয়োই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কলবুর্গীর গুলবর্গা ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (জিআইএমএস)-এর কোভিড-ওয়ার্ডের করিডরে এক দল শূকর ও তাদের ছানারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মীরা তাদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করেননি। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতে অস্বস্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বি শ্রীরামালু। জানান, এটা দিনতিনেক আগের ঘটনা। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তাঁর টুইট, ‘‘শূকর ও শূকর ছানাদের মালিককে ডেকে ওগুলি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।’’ শূকর-মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়ঙ্ক খড়্গের অভিযোগ, এলাকার করোনা হাসপাতালগুলিতে চরম অব্যবস্থা। নেট-নাগরিকদের মতে, এটা হাসপাতালের গাফিলতি ছাড়া কিছুই নয়। দেশে প্রথম করোনা-মৃত্যু হয়েছিল এই কলবুর্গী এলাকাতেই।

Advertisement

কলবুর্গীর ঘটনাটির পাশাপাশি, চর্চা চলছে বরেলীর কোভিড-ওয়ার্ডের ঘটনা নিয়েও। বরেলীর ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার। ওই হাসপাতালের এক রোগী গোটা ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো করেছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছে, ছাদের একটি বড় গর্ত থেকে অঝোরে জল পড়ছে। গোটা ওয়ার্ড জল থৈ থৈ। বেডের মধ্যে কোনওক্রমে বসে রয়েছেন করোনা রোগীরা। এই ঘটনার জন্য হাসপাতালের নিকাশি ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন বরেলীর যুগ্ম জেলাশাসক ঈশান প্রতাপ সিংহ। তিনি জানান, একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে কোভিড-হাসপাতাল করা হয়েছিল। নির্মাণ কাজের জন্য সেখানে নিকাশির সমস্যা ছিল। সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement