PFI

পিএফআই-এর ফেসবুক, টুইটারও বন্ধ! দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই গ্রেফতার, ঘোষণা তিন রাজ্যে

বুধবার পিএফআই দলটিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পিএফআই-এর শরিক দলগুলির উপরেও। সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পিএফআই-কে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৩৫
Share:

গ্রেফতার কেরলের পিএফআই নেতা। —ফাইল ছবি

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর টুইটার অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হল। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো অন্যান্য সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পিএফআই-কে। সেই সঙ্গে এই দলের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের অ্যাকাউন্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বুধবার পিএফআই দলটিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পিএফআই-এর শরিক দলগুলির উপরেও। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পিএফআই এবং এর অনুমোদন পাওয়া দলগুলিকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর আওতায় নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তার পর সমাজমাধ্যমেও তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হল।

টুইটারে পিএফআই-এর অ্যাকাউন্টে ৮১ হাজার ফলোয়ার ছিল। এ ছাড়া, দলের চেয়ারপার্সন ওএমএ সালামের টুইটারে ফলোয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার। দলের সাধারণ সম্পাদক আনিস আহমেদের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৫ হাজার। সব ক’টি অ্যাকাউন্টই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে টুইটার থেকে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পিএফআই-এর একাধিক নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন দলের দু’শোর বেশি নেতা-কর্মী। সালাম এবং আনিসও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন।

Advertisement

পিএফআই-এর বিরুদ্ধে জঙ্গিযোগের অভিযোগ উঠেছে। এনআইএ এবং ইডি, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যৌথ ভাবে অভিযোগ করেছে, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি), জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)-র মতো দলের সঙ্গে পিএফআই-এর যোগ রয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সেই দলের নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন। তার ভিত্তিতেই বুধবার দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার পর তামিলনাড়ু, কেরল এবং মহারাষ্ট্র সরকারও পিএফআই দলটিকে রাজ্যে ‘বেআইনি সংগঠন’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। রাজ্যগুলিতে পিএফআই-এর যাবতীয় অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্ধ করা হবে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।

উল্লেখ্য, শুধুমাত্র কেরলেই এই দলটির ১৪০-এর বেশি অফিস রয়েছে। সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই দলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। সমাজমাধ্যমের গতিবিধিও নজরে রাখা হবে।

পিএফআই-এর ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বলে খবর। দলের তরফে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পিএফআই-এর উপর নিষেধাজ্ঞা দেশের নাগরিকদের সংবিধান স্বীকৃত অধিকারের পরিপন্থী বলেও দাবি করেছেন দলটির সঙ্গে যুক্ত অনেকে।

পিএফআই ছাড়াও অল ইন্ডিয়া ইমামস্‌ কাউন্সিল, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উওমেন’স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন (কেরালা)-কেও কেন্দ্রের তরফে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিএফআই এবং এর সহযোগী দলগুলি যে বেআইনি কার্যকলাপের যুক্ত আছে তা ‘দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর’। এই দলগুলি সক্রিয় থাকলে দেশের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement