রাজনাথ সিংহ।
বিরূপ মন্তব্য এবং বিদ্বেষ ছড়ানো সুষ্ঠু গণতন্ত্রে কখনই কাম্য নয়। রবিবার এমনই মন্তব্য করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। নির্বাচনকে ঘিরে যে ভাবে রাজনৈতিক দল বা নেতারা একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি বিহার নির্বাচন এবং মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনকে ঘিরে বিরূপ মন্তব্যে একে অপরকে পাল্লা দিচ্ছেন নেতা-নেত্রীরা। রাজনাথ এ প্রসঙ্গে বলেন, “মানুষের মধ্যে বিদ্বেষের রাজনীতি ছড়িয়ে দিয়ে নির্বাচনে কখনও লড়াই করা উচিত নয়। একে অপরকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করা উচিত নয়। এটা সুষ্ঠু গণতন্ত্রের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। পরিবর্তে, তর্ক-বিতর্ক এবং জনস্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনাকেই স্থান দেওয়া ভাল।”
এ দিন বিহারের ভোট প্রসঙ্গও তুলে ধরেন রাজনাথ। বিজেপি এবং লোক জনশক্তি পার্টি(এলজেপি)-র মধ্যে গোপন কোনও আঁতাত হয়েছে, এমন অভিযোগকেও সরাসরি খারিজ করে দেন তিনি। বিহারে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জনসভা করেছেন রাজনাথ। তাঁর মতে, বিজেপি-জেডিইউ জোটকে ফের ক্ষমতায় দেখতে চায় বিহারবাসী। কয়েকটি জনসভা থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি রাজনাথের।
নীতীশ কুমারের সরকারের প্রশংসা করে রাজনাথ বলেন, “এই সরকার খুব ভাল কাজ করেছে। বিহারবাসীরা এই সরকারকেই ফের ক্ষমতায় আনবেন।” সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, শরিকরা চলে যাওয়ায় এনডিএ কি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজনাথ বলেন, কখনই নয়। জোট এখনও একটা মজবুত পরিবার হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোনও দলের নাম না করে রাজনাথ বলেন, যারা এনডিএ ছেড়ে বেরিয়েছে তাদের নিজস্ব কিছু কারণ ছিল। রাজনীতিতে এটা কখনও বলা সম্ভব নয়, কে কখন কার শরিক হবে। তবে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে যারা কাজ করতে চায় তাদের জন্য এনডিএ-র দরজা সব সময় খোলা বলেই জানান রাজনাথ। পাশাপাশি এই বার্তাও দেন যে, দেশের উন্নয়নের জন্য যে লক্ষ্যে তাঁরা এগোচ্ছেন তার সঙ্গে কখনও আপস করা হবে না।