Agra Accident

হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে আহত ব্যবসায়ীর লক্ষাধিক টাকা লুট করলেন পথচারীরা! ছটফট করে মৃত্যু

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম ধর্মেন্দ্র কুমার গুপ্ত (৪৬)। তিনি আগরার দুধ ব্যবসায়ী। মথুরা থেকে আগরা-দিল্লি হাইওয়ে ধরে মোটরবাইকে বাড়িতে ফিরছিলেন ধর্মেন্দ্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়ে ছটফট করছিলেন এক ব্যবসায়ী। কিন্তু তাঁকে ছটফট করতে দেখেও হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা দেড় লক্ষ টাকা লুট করে ভাগাভাগিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন বেশ কিছু পথচারী। আগরা-দিল্লি হাইওয়ের ঘটনা। সেই লুটপাটের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই ওই পথচারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম ধর্মেন্দ্র কুমার গুপ্ত (৪৬)। তিনি আগরার দুধ ব্যবসায়ী। মথুরা থেকে আগরা-দিল্লি হাইওয়ে ধরে মোটরবাইকে বাড়িতে ফিরছিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে দেড় লক্ষ টাকা ছিল বলে দাবি পরিবারের। হাইওয়ে ধরে যাওয়ার সময় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২০টি গাড়িকে ধাক্কা মারে। সেই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। রাস্তায় পড়ে ছটফট করছিলেন। তাঁকে দেখে কয়েক জন পথচারী এগিয়ে আসেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা না করে তাঁর ব্যাগ থেকে পড়ে যাওয়া লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, ওই পথচারীদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, “আগে টাকাগুলি নিয়ে নিন।” তার পরই হামলে পড়ে সেই টাকা নিয়ে নেন তাঁরা। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ধর্মেন্দ্রর ভাই মহেন্দ্র বলেন, “দাদা যখন বাড়িতে ফিরছিল না আমরা ওকে খুঁজতে বার হই। তখন একটি দুর্ঘটনার কথা শুনে সেখানে গিয়ে দেখি দাদার বাইক পড়ে রয়েছে। ওর ব্যাগটাও গাড়ির পাশে পড়ে ছিল। কিন্তু টাকাগুলি উধাও।” পরে তাঁরা জানতে পারেন ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

Advertisement

ধর্মেন্দ্রর ভাই আক্ষেপ করে বলেন, “যাঁরা টাকা লুট করেছে, তাঁরা যদি দাদাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন, তা হলে হয়তো সে বেঁচে যেত।” আগরার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সুরজ কুমার রাই বলেন, “একটি অফআইআর দায়ের হয়েছে। যাঁরা টাকা লুট করেছেন, তাঁদের খোঁজ চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement